বৃহস্পতিবার থেকে ফ্লাইট যাওয়া শুরু হবে বলে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বুধবার বিমানের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার এবং ১৩ নভেম্বর থেকে সপ্তাহে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এ রুটে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট যাওয়া আসা করবে। ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এবং সিঙ্গাপুর থেকে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়বে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে গত ৪ মে থেকে বাংলাদেশ হতে সিঙ্গাপুরের আকাশপথ বন্ধ ছিল। তবে ওই দেশ থেকে যাত্রীরা বাংলাদেশে আসতে পারতেন।
সম্প্রতি দেশটি বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের যাত্রীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুর যেতে হলে যাত্রীদেরকে অবশ্যই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতিপত্র নিতে হবে। এছাড়া অনুমোদিত কোভিড-১৯ এর টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
“ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেরামের কোভিশিল্ড, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক টিকার যে কোনো একটির দুই ডোজ এবং জনসনের টিকার ক্ষেত্রে এক ডোজ নেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন পর থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়া যাবে।“
টিকা দেওয়ার পাশাপাশি দুই বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদেরকে ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। সিঙ্গাপুর পৌঁছে ১০ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোয়ারেন্টিনের তৃতীয় ও সপ্তম দিনে নিজ খরচে অ্যান্টিজেন রেপিড টেস্ট করাতে হবে এবং ১০ম দিনে নিজ খরচে কোভিড-১৯ পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভ্রমণে গেলে যাত্রীদেরকে চাঙ্গি বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে, যে জন্য আগে থেকে অনলাইনে নিবন্ধন ও ফি দিতে হবে।
এছাড়া সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে মোবাইল ফোনে ট্রেস টুগেদার (Trace Together) অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
অপরদিকে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ১২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
টিকা নেওয়া না থাকলে বাসায় যেয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর কোভিডের লক্ষণ দেখা গেলে যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে জানায় বিমান।