সাউথ বাংলা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুর্নীতির অভিযোগের মুখে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে যাওয়া এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2021, 03:48 PM
Updated : 21 Oct 2021, 07:06 PM

এস এম আমজাদ হোসেন

আমজাদের মালিকানাধীন একটি ‘কাগুজে’ প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ তুলে আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দায়ের করা এই মামলায় আজজাদ ছাড়াও আরও ছয় কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- সাউথ বাংলা ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. মঞ্জুরুল আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম ইকবাল মেহেদী, এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং ক্রেডিট ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম, ব্যাংকটির খুলনার শাখার সাবেক এমটিও এবং বর্তমানে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার মণ্ডল ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মারিয়া খাতুন।

দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন খুলনা অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী লকপুর গ্রুপের মালিক আমজাদ।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দুদকের তদন্তের মুখে গত ২১ সেপ্টেম্বর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন তিনি।

দুদকে অভিযোগ আসে, আমজাদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে সাউথ বাংলা ব্যাংকের খুলনা সদর ও কাটাখালী শাখা ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি ও ঋণের আড়ালে দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির মাধ্যমে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার প্রথম মামলাটি হল।

মামলার এজাহার বলা হয়, “আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভুয়া স্টক লট প্রস্তুত করে এস এম আমজাদ হোসেনের মালিকানাধীন খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেড নামীয় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন।”

এতে বলা হয়, ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ তুলে ওই টাকা পাচারের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন আসামিরা।

২০১৫ সালের ৮ অগাস্ট থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এই সংক্রান্ত খবর