বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে আধুনিক স্থাপত্যের প্রদর্শনী কেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন।
এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্য মেলাকে সামনে রেখে ২০২০ সালের শেষ দিকে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
তবে করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর সেই প্রস্তুতি থেমে যায়, এমনকি বাণিজ্য মেলাও আর হয়নি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পূর্বাচল নতুন শহরে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এর অংশ হিসেবে উদ্বোধন করা হচ্ছে প্রদর্শনী কেন্দ্র।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে আয়োজনের কথা থাকলেও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার তখন পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। মহামারীর কারণে পরিস্থিতিও অনুকূলে ছিল না।
মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জোড়া আয়োজনের মধ্যে বাণিজ্য মেলা করা যায় কি না, সে পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহামারী পরিস্থিতির কারণে তা বাদ দিতে হয়।
পূর্বাচলের প্রদর্শনী কেন্দ্র
রাজধানী ঢাকার অদূরে গড়ে ওঠা পূর্বাচল উপশহরে কাঞ্চণ ব্রিজের কাছে ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দেয় তারা।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শনী কেন্দ্রটি ইপিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সেখানে ৯ বর্গফুট আয়তনের ৮০০টি স্টল রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে ছয় একর খোলা জায়গা। চাইলে সেখানেও অস্থায়ী স্টল বসানো যাবে।
প্রদর্শনী কেন্দ্রের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।
দোতলা পার্কিং ভবনে ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার জায়গায় ৫০০ গাড়ি রাখা যাবে। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি রাখা যাবে।