বুধবার রাজশাহীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে স্কুল প্রতিনিধিদের হাতে বই তুলে দেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিকাশ জানায়, মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বিকাশ ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভাগীয় পর্যায়ের ৫০০ স্কুলে ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল মুজিব বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলগুলোতে বিতরণ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
বিকাশ এর হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পর্যায়ক্রমে এ বিপুল পরিমাণ বই স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব।
“বুধবার রাজশাহীর ৩৫টি স্কুলের প্রতিটিতে পাঁচ সেট করে মোট ৪০টি বই দেওয়া হয়েছে।“
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংলাপ, গদ্য ও চিত্রের সমন্বয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিত্রিত হয়েছে ‘মুজিব’-এ।
বিকাশ জানায়, এর আগে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ বই দিয়েছে বিকাশ।
গত দুই বছর ধরে বাংলা একাডেমির বইমেলায় আসা পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করছে বিকাশ। সংগৃহীত বইয়ের সঙ্গে নিজেদের দেওয়া বইগুলো মিলিয়ে এ পর্যন্ত সাড়ে ২২ হাজার বই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগের লাইব্রেরিতে বিতরণ করেছে বিকাশ বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।