ই কমার্সে প্রতারণার শাস্তি অবশ্যই হবে: প্রধানমন্ত্রী

মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে যারা ই কমার্সসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2021, 02:26 PM
Updated : 4 Oct 2021, 02:26 PM

সোমবার বিকালে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, জনগণের টাকা ফিরে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি ই কমার্সে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান একজন গণমাধ্যমকর্মী।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ টাকা বানানোর জন্য যে প্রতারণাটা করে, এটার শাস্তি অবশ্যই হবে। আমরা বসে নেই, সাথে সাথে এদেরকে ধরা হয়েছে।

“একবার যখন ধরা হয়েছে তখন তারা টাকাগুলো নিয়ে কোথায় রাখল, কী করল, কী সম্পদ বানাল সেটাও কিন্তু খুঁজে বের করা হবে।“

দেশের বেশ কিছু ই কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে পণ্য না দিয়ে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি গ্রাহকরা কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। কয়েকটি মামলাও হয়েছে।

প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসার পর অভিযোগ ওঠা ১০ থেকে ১২টি ই কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের গ্রেপ্তার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু করার আমরা কিন্তু সব করেছি। এ ধরনের হায় হায় কোম্পানি যখন সৃষ্টি হয়, আপনাদের সাংবাদিকদের একটা দায়িত্ব থাকে এই নিয়ে। সবার ওপরেই আপনাদের একটা শেণ দৃষ্টি থাকে। তাই সেব্যাপারে আপনাদের মনে হয় একটা দায়িত্ব আছে।

“যদি শুরুতেই আপনারা ধরিয়ে দিতে পারেন যে, এই কোম্পানিগুলো হায় হায় কোম্পানি বা এখানে প্রতারণা করছে বা এরা প্রতারক। অন্যদিকে মানুষও যদি একটু সতর্ক হয় তাহলে এ ধরনের সমস্যা কিন্ত হয় না।“

জনগণের টাকা ফিরে দেওয়ার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেই টাকাগুলি তারা নিয়ে নিয়েছে, তারা কোথায় টাকা রেখেছে, কোথায় পাচার হয়েছে- সেই ব্যাপারগুলোরও তদন্ত হচ্ছে। যখনই এগুলো পাওয়া যাবে, আমরা সেগুলো ফেরত দেব।

“যেমন আমরা খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোর টাকা ফেরত এনেছিলাম। সে পাচার করেছিল; কিছু টাকা হলেও ফেরত আনতে পেরেছিলাম। আরও এরকম বহু টাকা আছে আমরা ফেরত আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি।“