হিসাবে গরমিল: ইউনিয়ন ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে সরানো হল

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্টে ১৯ কোটি টাকার হিসাব না মেলার ঘটনায় তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2021, 01:27 PM
Updated : 23 Sept 2021, 01:27 PM

ইউনিয়ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ইকবাল বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

টাকার হিসাবে কোনো ‘গরমিল হয়নি’ বললেও এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি দল ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশনা শাখা পরিদর্শনে গিয়ে ভল্টোর টাকার হিসাবে গরমিল দেখতে পান।

ব্যাংকের নথিপত্র অনুযায়ী সে সময় ভল্টে ৩১ কোটি টাকা থাকার কথা। কিন্তু বংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেখানে পান ১২ কোটি টাকা।

এই গরমিলের বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলিছিলেন, “তদন্তে কেউ দোষী হলে তার বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কেন সে সময় হিসাব মেলেনি, সে বিষয়টি বৃহস্পতিবার ব্যাখ্যা করেছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ইকবাল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় ব্যাংকের ‘অত্যন্ত বড় একজন গ্রাহক’ তার নিজের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার জন্য আসেন। লেনদেন সময় শেষ হয়ে গেলেও তার চেকের বিপরীতে তাকে ১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

তখন আর হিসাব হালনাগাদ না করায় পরদিন যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এলেন, ভল্টের টাকার হিসাব আর মেলেনি।

“পরে সেদিন তাদের সামনেই এই ১৯ কোটি টাকার চেক দিয়ে টাকাটা অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হয়েছে।”

এভাবে টাকা দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও হাসান ইকবাল তার যুক্তিতে বলেন, “ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে এর চেয়েও অনেক বেশি টাকা আছে। ব্যাংকের বড় কাস্টমারের ক্ষেত্রে এই ধরনের সেবা সবসময়ই দেওয়া হয়।”

তিনি বলেন, গরমিল না থাকলেও যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেজন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটি তারা করেছেন।

“তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। কারো কোনো দোষ যদি খুঁজে পাওয়া যায়, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। আর যারা এই শাখায় নগদ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ছিলেন, তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এহসানুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাম্মেল হক চৌধুরী।

চলতি মাসেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পেয়েছে এ ব্যাংক। ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার ছেড়ে তারা পুঁজিবাজার থেকে ওই টাকা তুলবে।