বুধবার বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবি এর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২১ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল মেলার ঘোষণা দিতে ইপিবি এ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। ১৮ থেকে ২৪ অক্টোবর এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ই কমার্স কোম্পানির প্রতারণার বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে দেওয়া যায় সেই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের সাজেশন আসছে।
“এরকম প্রস্তাবও পেয়েছি তাদেরকে কঠোর নিয়মের মধ্যে রেখে ব্যবসা করতে দেওয়া হয়, তাহলে তারা আস্তে আস্তে এ সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারে কি না। প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করে দেওয়া হলে গ্রাহকদের ক্ষতি কিছুটা পোষানো যাবে কি না। যেসব কোম্পানির দ্বারা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সম্পদ থেকে কিছু টাকা ফেরত দেওয় যায় কি না। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি।”
“এখান থেকে একটা শিক্ষা হয়েছে। একটা নতুন আইনও হয়েছে। আমরা নতুন নিয়ম করেছি এখন পণ্য ডেলিভারি না দিলে কোম্পানিগুলো টাকা পাবে না। ডেলিভারির পর টাকা ব্যাংক থেকে ছাড় করা হবে।”
মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি বাজারে যেন এই ধরনের সুযোগ আর কেউ না পায়।”
ই কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে যেন আর কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা নিয়েও কাজ চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী গ্রাহকদের ‘লোভ’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হওয়ার পরামর্শ দেন। দুই টাকার জিনিস এক টাকা দিয়ে কেনার বেলায় সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “মানুষ যদি অতিরিক্ত লোভ করে, তাহলে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। লোভ কমাতে হবে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুবক, ডেসটিনির মত পুরোনো সমস্যা নিয়েও কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভার্চুয়াল মেলা
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোর্সিং বাংলাদেশ শীর্ষক ভার্চুয়াল এ মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য রপ্তানি বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশি বিক্রেতাদের যোগসূত্র তৈরি করা। এতে ১৩টি খাতের উদ্যোক্তারা অংশ নেবেন।
করোনাভাইরাসের কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। মেলা থেকে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মেলায় দেশি পণ্যের ছবি ও ভিডিও থাকবে। মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা সরাসরি কথা বলতে পারবেন। বিনিয়োগ বিষয়ক ওয়েবিনার থাকবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উত্তর ও লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে ক্রেতারা যোগ দেবেন বলে জানায় ইপিবি।
মেলায় ১৫০ থেকে ২০০ কোম্পানির অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে ইপিবি জানায়। অংশ নিতে ৮৫ হাজার টাকা দিতে হবে।
এ জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে, যেটির ঠিকানা- www.sourcing-bangladesh.com
মেলা শেষ হওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত সব তথ্য সাইটে থাকবে।
আরও পড়ুন