ইভ্যালির রাসেলের গ্রেপ্তারকে ‘ফন্দি’ ভাবছেন অনেকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 17 Sep 2021 09:38 PM BdST Updated: 17 Sep 2021 10:08 PM BdST
প্রতারণার দায়ে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের গ্রেপ্তারকে বিপুল সংখ্যক পণ্য ক্রেতা-বিক্রেতার ‘পাওনা পরিশোধ এড়ানোর ফন্দি’ বলে ভাবছেন কেউ কেউ।
শুক্রবার পুরান ঢাকায় আদালত চত্বরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাসেলের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো ‘পাওনাদার’ দাবিদারদের সঙ্গে কথা বলে এমন সন্দেহের প্রকাশ মেলে।
ঢাকা মহানগর আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির আহমেদ সজিব জানান, রাসেল দম্পতিকে আদালতে আনার খবর শুনে সেখানে অর্ধশতাধিক লোক জড়ো হন। তারা রাসেলের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিকাল ৩টায় শাহবাগ চত্বরে কয়েকশ লোক রাসেলের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা ধানমণ্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে গিয়েও রাসেলের মুক্তির জন্য স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে সক্রিয় মীর আমজাদ হোসেন আকাশ নামে একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইভ্যালির এমডিকে কারাগারে রাখলে কারও কোনো উপকার হবে না। বরং তাকে প্রশাসনের নজরদারিতে ব্যবসা চালাতে দিলে কিছু কিছু পাওনাদারের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
আকাশের দাবি, তিনি গত দুই বছরে ইভ্যালির কাছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রি করছেন। তার ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা আটকা পড়েছে।

ফাইল ছবি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শফিকুল বলেন, অনেকে বলছেন রাসেল পাওনাদার এড়াতে সাজানো মামলায় জেলে গেছে। এখন প্রশাসনের উচিত দূরদর্শী চিন্তা করে তাকে বাইরে মুক্তভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া।
তিনি বলেন, “আমরা প্রায় এক কোটি টাকা পাব, তারপরও মামলা করলাম না। কোত্থেকে কে এসে তিন লাখ টাকার জন্য মামলা করে দিল। আমি মনে করি এটা পাওনাদারদের এড়ানোর জন্য রাসেলেরই একটা ষড়যন্ত্র।”
রাসেল গ্রেপ্তার হলেও দৃশ্যত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। শুক্রবার ইভ্যালির ফেইসবুক পেইজে ‘টিটেন ক্যাম্পেইন’ অফারে সুবিধা দিয়ে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসব পোস্টের নিচে যারা কমেন্ট করছেন তাদের অধিকাংশই রাসেলের গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
জামিল খান নামের একজন লিখেছেন, “মামলা পুরাই পূর্ব পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। একটা লোক ভোর রাত ৩টা, ৪টার দিকে মামলা করতে গেছে…।”
ক্রেতা, বিক্রেতা ও বিভিন্ন পর্যায়ে ইভ্যালি ৫৪৩ কোটি টাকার দেনায় পড়েছে। এরমধ্যে দুই লাখ গ্রাহকের পাওনা রয়েছে ৩১১ কোটি টাকা আর ইভ্যালির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেছেন এমন ব্যবসায়ীরা পাবেন ২০৫ কোটি টাকা।
এছাড়া ব্যবসার অন্যান্য পর্যায়েও কোম্পানির কোটি কোটি টাকা দেনা রয়েছে।
এক গ্রাহকের করা তিন লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় বৃহস্পতিবার বিকালে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। তার মুক্তির দাবিতে দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন পাওনাদার ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
-
ডলারের তেজ খানিকটা কমল
-
এবার আরও কম দামে এলএনজি মিলল
-
‘জিপি অ্যাকাডেমি’ উন্মোচন
-
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জেপি মরগানের ব্যবসায়িক বৈঠক
-
উদ্ভাবনী কাজের জন্য পুরস্কার দিল ওয়ালটন
-
কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দারাজ ও আলমগীর র্যাঞ্চ চুক্তি
-
সরকারের ভাবনায় রাইস ব্র্যান ও সরিষার তেল
-
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: তিন বছরে আয় ‘৩০০ কোটি টাকা’
সর্বাধিক পঠিত
- বিদায়ের ইঙ্গিত দিলেন স্ত্রী, মুশফিক বললেন ‘এমন ভাবনা নেই’
- ‘বাংলাদেশে আসলে অভিজ্ঞতার দাম নেই’
- তাইজুলের দারুণ লড়াইয়ের পরও ড্র চট্টগ্রাম টেস্ট
- ‘সালিশে ক্ষুব্ধ’: চেয়ারম্যানের ছেলেকে ‘হত্যার পর আত্মহত্যা’
- ডলারের তেজ খানিকটা কমল
- নয় সচিব পদে রদবদল, পদোন্নতি
- শেষের নাটকীয়তায় হেরে কলকাতার বিদায়
- ‘দল আমার কাছে অনেক কিছু চায়, আমাকে মূল্যবান মনে করে’
- টিসিবির পণ্য আর ট্রাকে মিলবে না, ইঙ্গিত বাণিজ্যমন্ত্রীর
- শেষ বেলার ২ উইকেটে এগিয়ে বাংলাদেশ