উদ্যোক্তাদের সহায়তায় জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ শুরু

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি ও দেশের ডিজিটালাইজেশন যাত্রা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে  জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ শুরু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2021, 02:46 PM
Updated : 16 Sept 2021, 02:46 PM

বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

স্টার্টআপ, ডেভেলপার এবং উদ্ভাবকদের প্রয়োজনীয় রিসোর্স দিয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবন, প্রবৃদ্ধি ও সম্ভাবনা উন্মোচনের উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন প্রথম ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ উদ্যোগ গ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ‍ পলক বলেন, “এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যাচ জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। তারা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের এবং সমগ্র ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে অবদান রাখছে।

“আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনাময় তরুণরা উদ্ভাবনী স্টার্টআপ তৈরি এবং ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে এর প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং অন্যান্য সহায়তা পাবেন।”   

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে স্টার্টআপগুলো সহায়তা করছে। প্রযুক্তি-নির্ভর ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। এখন পর্যন্ত এ যাত্রায় দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল চাহিদা মূল্যায়নে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সমাধান প্রদানে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের ৪৪টি স্টার্টআপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের পার্টনাদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে দেশের মেধাবীদের সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”   

গ্রামীণফোন জানায়, জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে ৪৪টি সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের (দেশজুড়ে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে) অংশগ্রহণে সফলভাবে ৬ পর্ব শেষ করেছে। গ্রামীণফোন ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি (৪ কোটির বেশি সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা এবং ১০ কোটির বেশি অন্যান্য সহায়তা) দিয়েছে, যেখানে প্রতিটি দল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা সমমানের সহায়তা পেয়েছে।

সেবা.এক্সওয়াইজেড, সিএমইডি হেলথ, ঢাকাকাস্ট, ক্র্যামস্ট্যাক, ডক্টরকইসহ এমন আরও অনেক স্টার্টআপ জিপি অ্যাকসেলেরেটরের মাধ্যমে সফল হয়েছে। 

ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি দেশে বৈষম্য হ্রাসে এবং নারী ক্ষমতায়ন উৎসাহিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু জিপি অ্যাকসেলেরেটরের।

কোনো খরচ ছাড়া সবার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে উদ্ভাবনের অনুশীলনী নিশ্চিত এবং ছয় মাসে প্রবৃদ্ধি ওপর আলোকপাত করে বাস্তবিক ক্ষেত্রে ব্যবসার সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে কাজ করে জিপি অ্যাকসেলেরেটর।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোভিডের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘গ্লোবাল ফার্স্ট’ বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলোয় সহায়তায় এ বছরের শুরুতে গ্রামীণফোনের সঙ্গে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে অগ্রণী তিন প্রতিষ্ঠান বেটারস্টোরিজ লিমিটেড, লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এবং আপস্কিলের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১২ মাসব্যাপী চলমান প্রোগ্রাম জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের সেরা স্টার্টআপ খুঁজে বের  করা হবে বলে জানায় গ্রামীণফোন।