সোমবার ঢাকার ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট- বিয়াম মিলনায়তনে এ গণশুনানি হবে বলে কমিশনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তবে বরাবরের মত ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ গণশুনানির বিরোধীতা করছে ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব। সংগঠনটি এর আগেও আদালতে গিয়ে এ গণশুনানির উদ্যোগ ঠেকিয়েছিল।
বিইআরসির গত ২৯ অগাস্টের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বেসরকারি এলপিজির মজুদকরণ ও বোতলজাতকরণ চার্জ, ডিস্ট্রিবিউটর চার্জ, খুচরামূল্য ইত্যাদি বিষয়ে গণশুনানিতে আলোচনা হবে।
এই আলোচনার জন্য এলপিজি অপারেটসদের পক্ষে থেকে মোট ১৮টি আবেদন করা হয়েছে।
এ গণশুনানির বিরোধীতা করে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলপিজির দাম নিয়ে গত ১২ এপ্রিল বিইআরসি যে আদেশ দিয়েছে এলপিজি অপারেটররা তা এখনও পালন করেনি। এরপর মাসে মাসে এলপিজির মূল্য নিয়ে আরও যেসব আদেশ এসেছে, সেগুলোও তারা বাস্তবায়ন করেনি।
“এই যুক্তির ভিত্তিতে গত অগাস্টে ক্যাবের পক্ষে থেকে হাই কোর্টে রিট করে গণশুনানির ওপর ৩ মাসের স্থগিতাদেশ এসেছিল। এখন অপারেটররা সুপ্রিম কোর্টে সেই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করিয়েছেন।“
শুনানির বিরোধিতা করলেও তারা গণশুনানিতে গিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৭ ও ১৮ অগাস্ট একই বিষয়ে গণশুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত ১২ অগাস্ট হাইকোর্ট থেকে এসেছিল স্থগিতাদেশ।
গণশুনানির বিষয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সদস্যকে (পেট্রোলিয়াম) ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-