অক্টোবরে শুরু হচ্ছে কারখানা পরিদর্শন

শিল্প কারখানায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অক্টোবর থেকে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন শুরুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2021, 06:42 PM
Updated : 10 Sept 2021, 06:42 PM

নারায়ণগঞ্জে হাশেম ফুড ফ্যাক্টরিতে বড়ধরনের অগ্নিকাণ্ডসহ বড় বড় দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে গত ১৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে অনুশাসন জারি করে কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে বড় ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে ২৪ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নেতৃত্বে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে অবিলম্বে সব শিল্প কলকারখানা সরেজমিনে পরিদর্শনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুশাসন জারি করা হয়।

এসব পরিদর্শনের আলোকে শিল্প কলকারখানাগুলোর অবকাঠামোগত এবং অগ্নি-দুর্ঘটনা ও অন্যান্য দুর্ঘটনা নিরোধের বিদ্যমান অবস্থা পর্যালোচনা এবং করণীয় নির্ধারণে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের জন্য বিডা সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ওই নির্দেশনা জারির প্রায় দুইমাস পর মঙ্গলবার খোঁজ নেওয়া হলে বিডার পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন কমপ্লায়েন্স) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই অনুশাসনের পর কোভিড পরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়েছিল। কভিডের মধ্যেও কাজের বেশ খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে।

অনুশাসন বাস্তবায়নে বিডার নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে আরিফুর রহমান সদস্য সচিব হিসাবে রয়েছেন।

গত এক মাস ২০ দিনে এই কমিটি নিজেদের মধ্যে তিনটি এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুটি বৈঠক করেছে।

কাজের অগ্রগতি কতটুকু জানতে চাইলে আরিফুর বলেন, “আমরা এসওপি তৈরি করেছি, চেকলিস্ট করেছি, সেক্টরের তালিকা করেছি। কোন কোন কারখানাগুলো পরিদর্শন করা যায় তার একটা অগ্রাধিকারভিত্তিক তালিকা করা হচ্ছে। আগামী অক্টোবরের প্রথম দিতে পরিদর্শনের কাজ শুরু করার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছি।

“এই কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি তিনটা মিটিং করেছে। আর বিডার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুটি মিটিং হয়েছে। কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির কাজগুলো তাকে জানান হয়েছে।”

সারাদেশে পরিদর্শন করার মতো ছোট-বড় ৪৬ হাজার কারখানা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমিক পর্যায়ে দেশীয় বাজারভিত্তিক কারখানাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কারণ, আরএমজি ও অন্যান্য রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোর কমপ্লায়েন্স অনেকটা সিকিউর্ড। তাই লোকাল দিয়েই আমরা শুরু করবো। তারাই বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

“প্রথম দিকে সবগুলো হয়তো সম্ভব হবে না। তবে সেক্টরের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কিছু কারখানা পরিদর্শন করা হবে। এই কমিটি যেসব উপ কমিটি করেছে তারা প্রায় ৪৬ হাজারের মতো কারখানা চিহ্নিত করেছে। সেখানে কিছু কিছু কারখানা পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হবে।“

“আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি। সমন্বয়ের কিছু কাজ এখন করা হচ্ছে। কারণ তৃণমূলে জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সবাই এর সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।”

 বিডার নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি প্রনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে জাতীয় কমিটির কাজও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে।

>> কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনারোধ এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ/কমিটি কর্তৃক সরেজমিন পরিদর্শনে পাওয়া পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশমালা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।

>> কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট আইনানুগ কর্তৃপক্ষগুলোর কার্যক্রম পরিবীক্ষণ।

>> কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোর বিষয়ে প্রায়োগিক আইন/বিধি/নীতিমালা/গাইডলাইন/নির্দেশনাগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

>> সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/নীতিমালা/গাইডলাইন/নির্দেশনাগুলো পরিপালনের বিষয়টি পরিবীক্ষণ।

>> কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্নিকাণ্ড/দুর্ঘটনা সম্পর্কে কর্মী ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

সালমান এফ রহমানকে সভাপতি করে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে।

সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/ পৌরসভার মেয়র, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, বাণিজ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, শিল্প সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা এর নির্বাহী চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক এর চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন), গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, এফবিসিসিআই সভাপতি ও বিজিএমইএর সভাপতি।

সালমান এফ রহমানকে সভাপতি করে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে।

সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/ পৌরসভার মেয়র, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, বাণিজ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, শিল্প সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা এর নির্বাহী চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক এর চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন), গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, এফবিসিসিআই সভাপতি ও বিজিএমইএর সভাপতি।