অগাস্টে ঘুরে দাঁড়াল রপ্তানি আয়

সদ্যসমাপ্ত অগাস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2021, 04:08 PM
Updated : 2 Sept 2021, 05:30 PM

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে অগাস্টে ৩৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছর একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। এর আগে জুলাইতে রপ্তানি ১১ শতাংশ কমে ছিল।

তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের হিসেবে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। জুলাই ও অগাস্ট মিলে ৬৮৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দশমিক ৩১ শতাংশ কম।

এই রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।

এই দুই মাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত তৈরি পোশাকপণ্য রপ্তানি থেকে আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক দশমিক ২৭ শতাংশ পিছিয়ে আছে।

অগাস্ট শেষে ৩২৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের নিটপণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ; এইখাতে প্রবৃদ্ধি আছে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর উভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২৩৮ কোটি ডলারের; এই খাতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

মিয়ানমার, ভারত ও ভিয়েতনামে পোশাকের ক্রেতা বাংলাদেশমুখী কিছুটা বাংলাদেশমুখী হতে থাকায় রপ্তানি ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ সভপতি শহিদুল্লা আজিম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পশ্চিমা বিশ্বে এখনও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক না হওয়ায় উভেন পোশাকের চাহিদাটা আগের মতো বাড়েনি। কারণ মানুষজনকে এখনও অফিস করতে হচ্ছে না, বাসাবাড়িতে অবস্থান করছে। ফলে উভেনের ‘ফরমাল’ পোশাকের প্রয়োজন পড়ছে না।

তবে নভেম্বর, ডিসেম্বরের দিকে ক্রয়াদেশ বাড়বে বলে আশায় আছেন ক্লাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিম।

তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় এখনও নেতিবাচক হলেও আরেক গুরুত্বপূর্ণ খাত হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। এই খাত থেকে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ডলার।

অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রাসায়নিকপণ্য, ২ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য এবং ১৭ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

টাকার অংকে ছোট হলেও এসব খাতে যথাক্রমে ৬৩ শতাংশ, ২১ শতাংশ এবং ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে।

তবে মাত্র ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি করে ৩৪ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছে এই খাত। গত অর্থবছরের একই সময়ে  প্রায় ২০ কোটি ডলারের পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

কৃষিপণ্যে ১৬ শতাংশ ও জীবন্ত-হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। যদিও টাকার অংকে এই দুইখাত খুব বেশি বড় নয়। দুই মাসে এই দুই খাতে রপ্তানি হয়েছে ২৮ কোটি ডলার।