ডব্লিউটির মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলার সঙ্গে মঙ্গলবার জেনিভায় এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের খবর দিয়ে বলা হয়, এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য ডব্লিউটিও নীতির অধীনে শিথিলতা ও অব্যাহতি আরও চলমান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মোমেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভাবনীয় উন্নয়নের পথ ধরে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের সক্ষমতা অর্জন করার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এলডিসিভুক্ত দেশের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেয়াত ২০৩৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত বহাল রাখার বিষয়ে ট্রিপস কাউন্সিলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক সহায়তামূলক পদক্ষেপ তুলে নেওয়া হলে উন্নয়নের পথে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
এলডিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে সহায়তামূলক পদক্ষেপ বহাল রাখার বিষয়ে ডব্লিউটিও বরাবর আবেদন করার কথা উল্লেখ করে মোমেন আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন মন্ত্রী-পর্যায়ের বিষয়ে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলে ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গাই রাইডারের সঙ্গেও বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
ব্যাশেলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গাদের উপর চালানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জবাবদিহিতা ও বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন।
একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছা মিয়ানমারে ফেরানোর কাজ করার অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, তাদের টেকসই ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার, জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার বিষষক হাই কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কাজ করত প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তিন দিনের সফরে জেনিভায় গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার সেখান থেকে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে।