গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার একদিন পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 19 Aug 2021, 12:45 AM
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি আবুল হাসান গ্রেপ্তারে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তাকে বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, গুলশান এলাকা থেকে থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
অগ্রিম অর্থ নেওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে পণ্য না পাওয়ায় ভুক্তভোগী গ্রাহক তাহেরুল ইসলামের দায়ের করা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাত মামলায় আমানউল্লাহ তিন নম্বর আসামী।
এই মামলার প্রধান আসামী ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের মালকি সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান মঙ্গলবার আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে বুধবার এই মামলায় সোনিয়াসহ পাঁচ আসামীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তারা আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
মামলার বাদী তাহেরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার ১৭ লাখ টাকাসহ এক লাখ গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে ই- অরেঞ্জের কর্ণধারসহ কয়েকজন।
“আমানুল্লাহকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। মামলায় পাঁচ জনকে আসামী করা হয়েছে। দুইজন কারাগারে এবং একজন গ্রেপ্তারে মধ্যে দিয়ে মূলত তিনজন এখন গ্রেপ্তার হল। বিথী আকতার ও কাওসার নামে দুইজন এখনও পলাতক।”
তিনি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান সোনিয়া মেহজাবিন বনানী থানা পুলিশের এক কর্মকর্তার বোন। ওই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।“
অর্ডার করা পণ্য পেতে সোমবার রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা।
সেদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বন্ধ এবং কর্মকর্তাদেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা।