ইভ্যালিকে মূল্য পরিশোধ করেও যারা পণ্য পাননি কিংবা অন্য অভিযোগ রয়েছে, তাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Published : 11 Aug 2021, 08:02 PM
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইভ্যালিসহ অন্যান্য ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা পরিস্থিতি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই পরামর্শ দেন মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান।
এই বৈঠকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিও ছিল। এছাড়াও ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা।
হাফিজুর বলেন, “যদি কোনো কাস্টমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে বা প্রতারিত হয়েছেন বলে মনে করেন, তাহলে তার উচিৎ হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মামলা করা।
“তাহলে আমরা সিগন্যাল পাব, কী পরিমাণ কাস্টমার প্রতারিত হচ্ছে এবং কী ধরনের সমস্যা, কী ধরনের লায়াবেলিটিস তৈরি হচ্ছে।”
তিনি একইসঙ্গে জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ইভ্যালি নিয়ে ইতোমধ্যেই ৬ হাজার ৭৫৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৬১২টি মামলা।
পণ্য উৎপাদন কিংবা বিপণনকারী যেসব প্রতিষ্ঠানের ইভ্যালি থেকে পাওনার বিষয়ে হাফিজুর বলেন, “যেসব মার্চেন্ট তাদেরকে পণ্য দিয়েছেন, তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও উচিৎ হবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
এই পরিস্থিতি দেখার পর গত ১৯ জুলাই ইভ্যালির কাছে চিঠি দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসার ধরন, সম্পদ দায়, গ্রাহকের দেনা, মার্চেন্টদের কাছে দেনাসহ বিভিন্ন তথ্যগুলো জানতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ১ অগাস্ট এসব তথ্য দেওয়ার কথা থাকলেও ইভ্যালি দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে হাফিজুর বলেন, এই হিসাব দিতে ইভ্যালি ছয় মাস সময় চাচ্ছে।
“আমরা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জেনেছি কেউ নির্দিষ্ট সময়ে কোনো হিসাব দিতে না পেরে সময় চাইলে তাকে সময় দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনায় আমরা তাদেরকে আরও তিন সপ্তাহ বা ২১ দিন সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল হয়তো এসংক্রান্ত নোটিস ইভ্যালির কাছে যাবে।”
এই তিন সপ্তাহ সময়ের মধ্যেও হিসাব দিতে না পারলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- জানতে চাইলে হাফিজুর বলেন, “আমরা এখনও সেটা ভেবে দেখিনি।”