কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিজিএমইএর ১৫ নির্দেশনা

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে কারখানা চালু রাখার ক্ষেত্রে ১৫ দফা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2021, 08:24 PM
Updated : 31 July 2021, 08:24 PM

শনিবার রাতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সংগঠনের সদস্য কারখানা মালিকদের এসব নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন।

বারবার চেষ্টা চালিয়ে রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে সরকারের অনুমোদন পান শিল্প মালিকরা।

এরপর কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিজিএমইএ কারখানার আশেপাশে বসবাসকারী কর্মীদের নিয়ে সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা চালু করার পরিকল্পনার কথা জানায়।

তবে শনিবার সারা দেশ থেকে শ্রমিক কর্মীরা আসতে থাকলে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়ে যায়। স্বাস্থ্যবিধি আর দুর্ভোগের বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত সরকার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে রোববার দুপুর পর্যন্ত বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়।

এতে করে এখন অনেকটা পূর্ণ উদ্যমেই চালু হতে যাচ্ছে কারখানা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ঈদের পর যে লকডাউন শুরু হয়েছে, তাতে সব শিল্প কারখানাও ৫ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে সরকার জানিয়েছিল।

কিন্তু ব্যবসায়ীদের বারবার অনুরোধে শুক্রবার সরকার জানায়, রপ্তানিমুখী কারখানা রোববার থেকে লকডাউনের আওতামুক্ত। অর্থাৎ রোববার থেকে তৈরি পোশাক কারখানা খোলা।

বিজিএমইএর দেওয়া ১৫ দফা নির্দেশনায় শ্রমিকরা কিভাবে কারখানায় প্রবেশ করবেন, কোথায় দাঁড়াবেন, কিভাবে দুপুরের খাবার গ্রহণ করবেন এবং অসুস্থ বোধ করলে কি করতে হবে এসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে:

>> কারখানা খোলা এবং ছুটির সময়ে গেইট বা কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকদের ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যে কারখানায় প্রবেশ ও কারখানা ত্যাগ করার বিষয়ে শ্রমিকদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া। 

>> শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে গমনাগমন পথের ব্যবহার নিশ্চিত করা (রশি বা শিকল দিয়ে পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের জন্য পৃথক লাইন করে কারখানায় প্রবেশ এবং বাহির নিশ্চিত করতে হবে।

>> সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা বিভিন্ন শিফটে নির্ধারণ করা।

>> ফ্লোরে বা কাজের স্থানগুলোতে ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করা।

>> দুপুরের খাবারের বিরতি বা অন্যান্য বিরতি সময়ও যথাসম্ভব ঠিক করে দেওয়া।

>> কারখানায় প্রবেশের সময় শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ করা অথবা প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো।

>> সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হাত পরিষ্কার সমগ্রী রাখা।

>> পর্যাপ্ত সংখ্যক সাবানের ব্যবস্থাসহ প্রধান ফটকে হাত ধৌতকরণ-স্থান নির্দিষ্ট করা।

>> কারখানায় প্রবেশের সময় সব শ্রমিক-কর্মচারীর হাত ধৌতকরণ বা জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করা।

>> হাত ধোয়া বা জীবাণুমুক্তকরণের প্রতিটি স্থান/পানির কলের মধ্যে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব নিশ্চিত করা।

>> হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্তকরণের সঠিক নির্দেশাবলী দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শন করা।

>> হাত ধোয়ার পর শুকানোর জন্য ড্রায়ার বা টিস্যু পেপারের ব্যবস্থা রাখা।

>> সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা।

>> কারখানার বাইরে সভা সমাবেশ, গণপরিবহন এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করা।

>> করোনা সংক্রমণের উপসর্গ সম্পর্কে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবহিত করা।