শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণ-আরএফএল জানিয়েছে, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এই সহায়তা করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২৩ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবং গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, নাটোর ও ঝিনাইদহ জেলার ১১ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, সেমাই, ইউএইচটি দুধ ও নুডুলস।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন এই কাজে সহযোগিতা করেছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ’’কঠোর বিধিনিষেধের সময় মানুষ কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। এসময় বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের দৈনিক আর্থিক উপার্জন না থাকায় অনেক পরিবার অসহায় জীবনযাপন করছে।
“তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ দিনমজুর, রিক্সা-ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন পেশার নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা করছি।“
তিনি আরও বলেন, “প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে অসহায় দরিদ্রদের সহায়তা করা হয়।“
গত বছরের মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ‘পাশে আছি বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সামগ্রী প্রদান শুরু করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
এ পর্যন্ত কর্মসূচির আওতায় কর্মহীন হয়ে পড়া ৮০ হাজারেরও অধিক পরিবারের মাঝে গ্রুপের পক্ষ থেকে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বল বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোর ও ভোলার ১৯টি হাসপাতালে মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ প্রদান করে গ্রুপটি।