আইএফসির ‘কনফার্মিং ব্যাংকের’ তালিকায় সিটি ব্যাংক

‘কনফার্মিং’ ব্যাংক হিসেবে গ্লোবাল ট্রেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে (জিটিএফপি) অংশ নিতে আইএফসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2021, 12:04 PM
Updated : 27 July 2021, 12:04 PM

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক এ তালিকায় যুক্ত হল।

এ প্রকল্পের আওতায় জিটিএফপিতে অংশ নেওয়া কনফার্মিং ব্যাংকগুলোকে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) সম্পূর্ণ বা আংশিক গ্যারান্টি দেয়। কার্যকরভাবে তাদের অর্থ প্রদানের ঝুঁকি গ্রহণ করে।

সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ এবং আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট গ্রুপের আঞ্চলিক শিল্প পরিচালক রোজি খান্না এই চুক্তিতে সই করেন।

উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে জিটিএফপি চালু করেছিল আইএফসি। ২০১২ সালে ‘ইস্যুইং ব্যাংক’ হিসেবে জিটিএফপি প্রকল্পে যোগ দেয় সিটি ব্যাংক।

জিটিএফপি প্রকল্পের আওতায় কনফার্মিং ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ইস্যু করা এলসি অ্যাড কনফার্মেশন করতে আইএফসি থেকে ঝুঁকি কাভারেজ পেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত খাতের পণ্য ও পরিষেবার আমদানি-রপ্তানির অর্থায়নে সিটি ব্যাংকের সামর্থ্যে এটি এক বড় উদ্যোগ। এই চুক্তির মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের বাণিজ্যিক লেনদেনের সক্ষমতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে, যা বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বাণিজ্য প্রবাহের চলমান সংকটের প্রভাব কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

শেখ মারুফ বলেন, “আইএফসির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিটি সিটি ব্যাংকের শক্তি এবং সামর্থ্যরে প্রমাণ স্বরূপ। এই চুক্তি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে এই ব্যাংকের সক্ষমতা আরও জোরদার করবে।

“এই চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক ট্রেড ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে এলসি কনফার্মিং ব্যাংকে পরিণত হবে, যা বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য অত্যন্ত গর্বের।”

রোজি খান্না বলেন, “জিটিএফপি ব্যাংক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক সহজেই বৃহৎ আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সাথে কাজের অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পারবে এবং নগদ জামানতের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ে অর্থের যোগান আরও বিস্তৃত করতে সহায়তা করতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, “কোভিড-১৯ এর প্রভাবে যেসব বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নগদ প্রবাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাও বাজারে ধারাবাহিক বাণিজ্যিক ঋণ প্রবাহ থেকে লাভবান হতে পারবে। এটি বাণিজ্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।”