রোববার ঢাকার মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে পুঁই শাকের আঁটি ২৫ টাকা; লাউ শাকের আঁটি ২৮ টাকা; লালশাকের আঁটি ২০ টাকা; কচুর মুখী ৫০ টাকা।
করলা ও পটল দেখা গেল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদে আগে, অর্থাৎ এক সপ্তাহ আগেও করলার কেজি ছিল ৪০-৪৫ টাকা, পটল ছিল ৩৫-৪০ টাকা
বরবটি, ঝিঙে ও চিচিংগা ৫৫ টাকা কেজি; পেঁপের কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এসব সবজির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।
বেগুনের দাম ঈদের আগে ছিল ৪০ টাকা কেজি, এখন তা ৫০ টাকায় উঠেছে। আলুর দামও কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা। ঈদের আগে যে আলুর কেজি ২২ টাকা ছিল, রোববার তা ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেল।
দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। ডিমের দাম অবশ্য ঈদের আগের মতই। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মালিবাগ রেলগেইট কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আমিন উদ্দিন বললেন, “এখন সরবারহ কম। মফস্বল থেকে শাক-সবজির ট্রাক আগের মত আসছে না। কিন্তু ঈদের পর তো চাহিদা বেড়েছে।
কোরবানির ঈদে কয়েক দিন মাংস খাওয়ার পর মানুষ এখন খাবারে পরিবর্তন আনছে। করলা ভাজি, আলু ভর্তা, ডাল, বিভিন্ন সবজির চাহিদা তাই বেড়েছে।
পল্টন লেইনের বাসিন্দা কিসমত উল্লাহ বাজার করতে এসে বললেন, “ তিন দিন মাংস খাচ্ছি। আর ভালো লাগে না। এখন আপনি করলা খাবেন, সেই করলার দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। … আমরা যাব কোথায়?”
বেইলি রোডের বাসিন্দা আবিদা খানম শান্তিনগর বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন। তিনি করলা, পেঁপে ও ঢ্যাঁড়স কিনেছেন, কিন্তু দাম বেশি বলে জানালেন।
“যে করলা ঈদের আগে আমি ৪০টাকায় কিনেছি, সেটা এখন ৬৫ টাকা। এটা টু মাচ। পেঁপে আর ঢ্যাঁড়সের ক্ষেত্রেও একই রকম। কাঁকরোল- এটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়!”
এ বাজারের সবজি বিক্রেতা মোমিন আলী বলেন, “বাজার ঘুরে দেখেন, আপনি শাক-সবজি কয়টা দোকান ছাড়া পাবেন না। লকডাউনে তো গাড়িঘোড়া বন্ধ, ট্রাকের ভাড়াও বেশি। সেই কারণে সাপ্লাই কম।
“আরো কয়দিন পর দেখবেন দাম আরো বাড়ছে। আমরা কী করমু কন? লাভ আমাগো বেশি একটা হয় না।”