বিদেশফেরত কর্মীদের সহায়তা দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ব্র্যাক

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশে ফেরত আসা প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা বাড়িয়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও ব্র্যাক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2021, 05:12 PM
Updated : 24 July 2021, 05:12 PM

মহামারীর মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এই কাজে যুক্ত হয়েছে বলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

দুই বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের নাম “কোভিড-১৯ রিকোভারি: এন্টারপ্রিনিউরশীপ ট্রেইনিং এন্ড গেইনফুল এমপ্লয়মেন্ট ফর রিটার্নি মাইগ্রেন্টস অ্যাফেক্টেড বাই কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ”।

প্রকল্পের আওতায়, কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসীদের জরুরি আগমন সহায়তা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

১৮-৩৫ বছর বয়সী নারী ও তরুণদের এই সহায়তায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসীদের ঘনত্তের অনুপাতের বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার মানুষদের এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান মহামারীর ফলে গত এক বছরে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছেন।

সম্প্রতি ব্র্যাকের এক জরিপ থেকে জানা যায়, বিদেশ থেকে আগত এসব মানুষের অর্ধেকই কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।  

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরে আসা আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি সুযোগও বটে।

“বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা প্রবাসজীবনে অর্জিত দক্ষতা ও জ্ঞান ব্যাবহার করে নিজেদেরকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন অথবা লাভজনক কর্মসংস্থানে সংযুক্ত হতে পারেন।”

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, “কোভিড-১৯-এর কারণে অনেক প্রবাসী যেমন কর্মহীন হয়ে পড়েছে, তেমনি দেশে ফেরত আসা অভিবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরেকত্রীকরণের জন্য দেশের সরকারি, বেসরকারি সব শ্রেণির সামর্থ্যবানদের একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তাও বোঝা গেছে।

“যখন আমাদের স্বল্প পরিসরে অধিক কাজ করতে হয়, তখনই পার্টনারশিপের গুরুত্বটি সামনে আসে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন সাধনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বিদেশফেরতদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।”