আর সেই কেনাকাটার জন্য ভিড় জমেছে ঢাকায় কারওয়ান বাজার ও চকবাজারের মতো বাজারে। যেখানে কামারপট্টি রয়েছে, সেই সঙ্গে মিলে যায় গাছের গুঁড়ি, হোগলার পাটি, পশুর খাবার।
কোরবানির পশুকে খাওয়ানোর জন্য লাগে ভুসি, খড় ও খৈল। মাংস কাটার জন্য প্রয়োজন হয় ছুরি, দা, চাপাতি। মাংস কাটার জন্য লাগে গাছের গুঁড়ি, আর মাংস রাখার জন্য লাগে পাটি।
বুধবার ঈদ হওয়ায় সোমবারের মধ্যে অনেকের গরু কেনা হয়ে গেছে। তারা এখন ছুটছে কামারপট্টিতে, যেস্থান এখন টুংটাং শব্দে সরগরম।
দা ছুরি চাপাতি সবই তৈরি হয় কারওয়ান বাজারের কামারপট্টিতে; পাশাপাশি বিদেশ থেকে আসা ছুরির পাওয়া যায় সেখানে।
লালবাগের এক কামার বলেন, বছরে শুধু কোরবানির ঈদে তাদের মূল ব্যবসাটি হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর ব্যবসা ভালো যায়নি। এবছর একটু ভালো মনে হচ্ছে তার।
কাপ্তানবাজারের মো. ফয়সল নামে একটি কামারের দোকানের কর্মচারী বলেন, এই বছর গত বছরের চেয়ে কাজের চাপ বেশি।
“টাকা যত বেশি জিনিসও তত ভালো ও ভারী হবে,” বলেন তিনি।
চকবাজার খুচরা বাজারেও এসব ছুরি পাওয়া যায়। দামেও বেশি হেরফের দেখা যায়নি।
দোকানিরা জানান, কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে তারা সাধারণত ৫ ধরনের বটি, ৬ রকমের দা, ১৬ ধরনের ছুরি, ৭ ধরনের কাবাব ছুরি, ২০ ধরনের চাপাতি, ১২ ধরনের জবাই ছুরি তৈরি করেন।
চকবাজার ব্যবসায়ী মোকতার হোসেন বলেন, একটি ছোট আকারের ছুরির দাম ৮০ টাকা আর বড় ছুরি ২০০ টাকা। তবে চীনা ছুরির দাম সাড়ে ৩০০ টাকা।
ঈদের দুদিন আগে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতেও ভ্যানে করেও দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করতে দেখা গেছে। পশুর খাবার ও পাটিও মিলছে।