উত্তর সন্তোষজনক না হলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর বিষয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে অভিযোগ ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিস দেওয়া এবং এগুলো কীভাবে ব্যবসা করছে তা যাচাই বাছাই করতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছেও বলে জানান তিনি।
সোমবারই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই নোটিস যাবে উল্লেখ করে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরও বলেন, “প্রথম নোটিস দেওয়া হবে ইভ্যালিকে। তাদের বিরুদ্ধে অনেক বেশি অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে।“
ইভ্যালিসহ আরও কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার ধরন এবং গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েও দীর্ঘ সময় পরও পণ্য না দেওয়া, অর্থ ফেরত না দেওয়াসহ ক্রেতা ‘ঠকানোর’ বিস্তর অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয়েছে।
ইভ্যালি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বৈঠকে অনলাইন বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ভূমিকা রাখছে এমন সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ অংশীজনরা অংশ নেন।
এতে প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের প্রতিনিধিদের পাশাপশি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, “সম্প্রতি ই-কমার্স নিয়ে গ্রাহকদের অব্যাহত অভিযোগ, সময়মত পণ্য সরবরাহ করতে না পারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের খবর আসছে। বিশেষ করে ইভ্যালির অনিয়মের কথাগুলো বেশি শোনা যাচ্ছে। সেজন্য কোম্পানিগুলোর বিজনেস মডেল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “বিলম্বের কারণ যুক্তিসঙ্গত কিনা, তারা আদৌ টাকা ফেরত দিতে পারবে কিনা- এসব দেখে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
“তাদেরকে সময় দেওয়া হবে, নাকি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কমিটির সেই সিদ্ধান্তের আলোকে সেটা ঠিক করা হবে।“