জুলাইয়ে এলপিজির দাম কেজিতে বাড়ল ৪ টাকার বেশি

দেশের বাজারে সিলিন্ডারে বিক্রি হওয়া তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম কেজিতে চার টাকা সাত পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2021, 08:12 AM
Updated : 30 June 2021, 08:13 AM

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি এলপিজির খুচরা মূল্য ৭০ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৪ টাকা ২৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা জুলাই মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বুধবার বলেছে, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম বাড়ায় এই দাম নির্ধারণ করতে হয়েছে।

আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সৌদি আরমকো কোম্পানির প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির এই নতুন দর ঘোষণা করা হবে।

কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জুনে সৌদি আরামকোর কনট্রাক্ট প্রাইসের (সিপি) ভিত্তিতে জুলাই মাসের বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।”

নতুন মূল্যহার অনুযায়ী জুলাইয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯১ টাকা; যা জুনে ৮৪২ টাকা এবং মে মাসে ৯০৬ টাকা ছিল।

নতুন দামে এলপিজির সাড়ে ৫ কেজি সিলিন্ডার ৪০৮ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি ৯২৮ টাকা, ১৫ কেজি ১১১৪ টাকা, ১৬ কেজি ১১৮৮ টাকা, ১৮ কেজি ১৩৩৭ টাকা, ২০ কেজি ১৪৮৫ টাকা, ২২ কেজি ১৬৩৩ টাকা, ২৫ কেজি ১৮৫৬ টাকা, ৩০ কেজি ২২২৮ টাকা, ৩৩ কেজি ২৪৫১ টাকা, ৩৫ কেজি ২৫৯৯ টাকা এবং ৪৫ কেজি ৩৩৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিইআরসির আদেশে দেখা যায়, প্রোপেন-বিউটেনের মিশ্রণমূল্য পরিবর্তন হলেও রিটেইল চার্জ, ডিস্ট্রিবিউটর চার্জ, পরিবহন চার্জ, মূসক, মজুদকরণ চার্জ অপরিবর্তিত রয়েছে। 

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড পদ্ধতি) এলপিজির দাম প্রতি কেজি ৭১ টাকা ৯৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা আগের মাসে ছিল ৬৭ টাকা ৮৭ পয়সা।

এছাড়া অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা জুন মাসে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সা ছিল।

গত ১২ এপ্রিল প্রথমবার দেশে এলপিজির দাম বেঁধে দেয় বিইআরসি। এরপর প্রতি মাসে সৌদি আরমকোর সিপির ওপর ভিত্তি করে দাম পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী জুলাইয়ের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভোক্তাদের অভিযোগ, বিইআরসি পুনর্নির্ধারণে দাম কমালেও বাজারে সেই দামে সিলিন্ডার মেলে না। ঢাকাতেই ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকার বেশি দামে। আবার কিছু কিছু প্রান্তিক এলাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে এলপিজি বিক্রির খবর পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ভোক্তাদের লিখিত অভিযোগের অপেক্ষায় আছি। ডিলার ডিস্ট্রেবিউটরদের তালিকা সংগ্রহ করছি।

“বাস্তবায়নের একক দায়িত্ব বিইআরসির নয়, এটা সবার দায়িত্ব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে চিঠি দিয়ে দাম কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে বলেছে বিইআরসি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকরাও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন।”

এদিকে তিন মাস পার হলেও লাইসেন্স পাওয়া ২৮টি এলপিজি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১০টি কোম্পানি তাদের পরিবেশকদের তালিকা কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। খুচরা বিতরণকারীদের তালিকা কমিশনের হাতে আসেনি।