‘শাটডাউন’ দিলেও পোশাক কারখানা চালু রাখার দাবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে একটানা ১৪ দিনের ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ জারির যে সুপারিশ কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি করেছে, তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ব্যবসায়ীরাও।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2021, 12:08 PM
Updated : 25 June 2021, 03:07 PM

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এখন এ ধরনের ‘শাটডাউন’ ঘোষণার সময় এসেছে। তবে একইসঙ্গে অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোকে সীমিত পরিসরে উৎপাদন চালু রাখার অনুমতি দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করছেন।

ফারুক হাসান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কারখানা মালিকরা শাটডাউনের কথা শুনে উদ্বেগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমি বলে দিয়েছি, বৃহত্তর স্বার্থে এটা মেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন কিছুটা ব্যহত হলেও এখন শাটডাউন প্রয়োজন।”

মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই সারাদেশে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ চালু রাখা হয়েছে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়ম শিথিলও করা হয়েছে।  

এর মধ্যে করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় জুনের শুরু থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে বাড়তে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এ অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে একটানা ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ ঘোষণার সুপারিশ করেছে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেখানে।

সরকার ওই সুপারিশ সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় নেবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, “সংক্রমণ কমানোর জন্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেটা প্রয়োজন সেটাই করা হবে।”

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক বলেন, এপ্রিলে ‘লকডাউন’ ঘোষণার সময় রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে উৎপাদন ‘কিছুটা ব্যাহত’ হচ্ছে।

“তবে কাজ থেমে নেই। অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতা কিংবা কর্মকর্তারা কারখানায় যেতে পারছেন না। কিছু শ্রমিকও যেতে পারছেন না। এই সমস্যাগুলো এখন মেনে নিতেই হবে।”

শাটডাউন জারি হলে তখনও কারখানা সচল রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “কোরবানির ঈদের আগে এখনই পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে শ্রমিকদের ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। গত বছরের মত এবারও তারা গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। এতে ভালোর চেয়ে খারাপই হবে।

“এজন্য সরকারের কাছে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, গণপরিবহনগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হলেও পোশাক কারখানা যেন চালু থাকে। কারখানার আশপাশে অবস্থানকারী যেসব শ্রমিক আসতে পারবেন, তাদের দিয়েই উৎপাদন চালু রাখার চেষ্টা করা হবে।”