মহামারী: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সাড়ে ১৩ কোটি টাকার সহায়তা

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং ক্ষতিগ্রস্ত নতুন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2021, 04:19 PM
Updated : 22 June 2021, 04:19 PM

চলমান মহামারীকালে বাংলাদেশকে ১০টি খাতে সহায়তা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংকটি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকটি যেসব খাতে সহায়তা করতে চায় সেগুলো হচ্ছে-

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ।

স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য মেডিকেল সরঞ্জাম প্রদান। কোভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ।

সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য চিকিৎসা সহায়তা। কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা এবং কোভিড পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জীবনযাত্রা পুনরায় স্বাভাবিকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা। চাকুরির সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্ধারণ পুনরায় স্বাভাবিকরণ যেমন- পুনদক্ষকরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা।

নতুন উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। শিক্ষা সহযোগী কার্যক্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদী অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা হবে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামাল দিতে এখন পর্যন্ত সক্ষম হলেও আরও একটি ঢেউয়ের আশংকা মাথা চারা দিয়ে উঠছে, যার ফলে আমাদের যথাসাধ্য সতর্ক থাকতে হবে।

“বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য প্রয়োজন।“

এজন্যই গত বছরের মতো এবারও জনসাধারণের জন্য একটি বিস্তৃত, বহুমাত্রিক কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা ঘোষণার কথা জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “২০২০ সালে আমাদের গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর ধারাবাহিকতায় নতুন পরিকল্পনাগুলো সাজানো হয়েছে। তবে আরও বৃহৎ পরিসরে, যা সমগ্র পরিস্থিতির উপর বাড়তি প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি।

“প্যাকেজটি তুলনামূলক বড় হলেও, সার্বিক পরিস্থিতির পর্যালোচনায় আরও সাহায্য প্রয়োজন।“

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-এর হেড বিটপী দাস চৌধুরী বলেন, “এই মহামারী আমাদের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে পুনর্গঠন করেছে, যার প্রভাব আমাদের মধ্যে স্থায়ী হয়ে থাকবে।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষদের তাৎক্ষণিক চাহিদাপূরণের পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নতুন উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যৎ দক্ষতা বিকাশের উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি।“

তিনি বলেন, “দেশের জনগণ এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও মজবুত করার উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাত, উন্নয়নমূলক সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি আগের তুলনায় আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন।”