নিত্যপণ্যের দাম সহনীয়, দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর

চলতি মাসে চাল, ডাল ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সরকারের পদক্ষেপে তা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 10:52 AM
Updated : 15 June 2021, 10:52 AM

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ দাবি করেন।

টিপু মুনশি বলেন, “সম্প্রতি হঠাৎ করে চাল, ভোজ্য তেল, চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়পোযোগী পদক্ষেপের ফলে এসব নিত্যপণ্যের দাম আগের মতো স্বাভাবিক/সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে।”

সংসদে কয়েকদিন আগেই বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এক কাদের বলেছিলেন, মহামারীকালে মানুষের আয় যখন কমেছে, তখন তেল, চাল, ডালসহ খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ‘হাহাকার’ তৈরি হয়েছে।

সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে মে মাসে মূল্যস্ফীতি কম দেখা গেলেও সম্প্রতি বাজারে গিয়ে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে বেশি দেখা গেছে।

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমত নেওয়ার সময় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ১৫ হাজার ৫৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা ৩৯ হাজার ৭৫৫ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান সংসদে জানান, মুজিববর্ষে (২০২০-২১ অর্থবছরে) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে ৬৬ হাজার ২৯১টি বাসগৃহ নির্মাণে এক হাজার ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অনুদানে ইমার্জেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রকল্পের প্রাক্কলিত ৫৯৯ কোটি ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। গত মে পর্যন্ত এখাতে ব্যয় হয়েছে ১০২ কোটি ২০ লাখ টাকা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, ১৯৯১ সাল থেকে নারীকর্মী পাঠানো শুরুর পর এ পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৩৯ জন কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন।

নারী-পুরুষ মিলিয়ে গত ১০ (২০১১-২০) বছরে ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৩ জন কর্মী বিদেশে গেছেন বলে জানান তিনি।

এর মধ্যে ২০১০ সালে সর্বাধিক ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে কম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।

করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর আশা প্রকাশ করেন ইমরান।

বিদেশে গমনেচ্ছু শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে উপজেলা পর্যযায়ে আরও ৭১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।