বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করেছেন সরকারি ও বেসরকারি খাত, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, ব্যাংকার ও দুই দেশের কূটনীতিকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2021, 05:02 PM
Updated : 5 June 2021, 05:02 PM

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই আলোচনার আয়োজন করে।

বিডা ও স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারি বেসরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ক্রম পরিবর্তনশীল বিশ্বের কৌশলগত সুযোগগুলো তুলে ধরে দুই দেশের সম্ভব্য অংশীদারিত্বের বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়। অংশ নেন।  

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের সম্পর্কে বেশ কিছু সাদৃশ্যতা রয়েছে। এই মিলগুলো কাজে লাগানো এবং উচ্চ-আয়ের অর্থনীতিতে নিজেদের নাম লেখানোর সময় এসে গেছে। এই সামিটের মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত, শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যকার সুসম্পর্ক দীর্ঘ কালের। দুই দেশের এমন সহযোগিতামূলক কার্যক্রম উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। সামনের দিনগুলোতে আমাদের কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে এবং এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে ডিজিটালাইজেশন।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, “মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর রয়েছে। দুদেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসের প্রেসিডেন্ট রুপালী চৌধুরী বলেন, “আমরা টেলিকম ও ফার্মাসিউটিক্যালস খাতসহ ১৯টি সেক্টরের প্রতিনিধিত্ব করি। আমরা প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির সাথে অবকাঠামো, ট্যাক্স ইনসেন্টিভসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসা সহজতর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কী চাইছি তা সরকার বিবেচনা করছে।”

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি ও রবি অ্যাজিয়াটার সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে টেলিকম খাতে বিশাল সুযোগ রয়েছে। টেলিকম সেক্টরকে সমর্থন করার জন্য টাওয়ার সেক্টর, আইওটি এবং অন্যান্য সব আইসিটি শিল্পের আরও বিকশিত হওয়ার সুযোগ থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “এখানে ব্যবসায় সহজকরণ, কর শুল্ক পর্যালোচনা, প্রতিযোগিতা আইনের সীমাবদ্ধ বাস্তবায়ন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বহির্গমনের সুবিধাসহ আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে এফডিআইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।”

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং বিডা গত জানুয়ারিতে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি করে যেখানে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ দেশে আনতে প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে কাজ করেছে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজার বিজয় বলেন, “আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করার একটি দুর্দান্ত ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে এবং তারা টেলিকম, বীমা, আর্থিক সেক্টরসহ এফএমসিজির মতো খাতগুলিতে শীর্ষস্থানীয় করদাতা হিসাবে স্বীকৃত।