ঈদের আগেই ‘মজুরি পাচ্ছেন’ পোশাককর্মীরা

ঈদের চারদিন আগেই অধিকাংশ রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পোশাক মালিকরা বলছেন, এবার ঈদের আগেই শতভাগ মজুরি দেওয়া সম্ভব হবে বলে তাদের আশা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2021, 04:43 PM
Updated : 10 May 2021, 05:35 PM

সোমবার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের ৯০ শতাংশ পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস অথবা দুটোই দেওয়া হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ নেতারা।

তবে শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাবুল আকতার দাবি করেছেন, ৭০ শতাংশ কারখানায় বেতন বোনাস হওয়ার খবর তার কাছে রয়েছে।

পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর তত্ত্বাবধানে প্রায় তিন হাজারের মতো পোশাক কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য রয়েছে প্রায় ২২০০ কারখানা।

বিজিএমইএর সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবছর ইতোমধ্যেই ৯০ শতাংশ কারখানায় বেতন অথবা বোনাস দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। মালিকরা নিজস্ব সক্ষমতা থেকেই এবার বেতন-বোনাস দিচ্ছেন।”

যেসব কারখানায় বেতন নিয়ে সমস্যা হতে পারে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সেগুলো নিয়ে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান কচি।

বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মিলে প্রায় তিন হাজার কারখানার অধিকাংশই বেতন দেওয়া হয়েছে। যেগুলোতে দেওয়া হয়নি সেগুলোতেও দেওয়া হবে। সেই প্রস্তুতি চলছে।”

বেতন-বোনাস ও ছুটি নিয়ে সোমবারের বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, “সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাগুলোতে মালিক-শ্রমিক আলোচনার ভিত্তিতে ঈদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও ছয়দিন পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার পরও শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

“শ্রম মন্ত্রণালয়ে মালিক-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কথা হয়েছে। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে ছুটির কথা বলা হয়েছে। তারপরও কারা শ্রমিকদের উত্তেজিত করছে ভেবে দেখা দরকার।”

শিল্প পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য ১৯৭২টি কারখানাসহ গাজীপুর অঞ্চলে প্রায় চার হাজার কারখানা রয়েছে। এসবের অধিকাংশগুলোতেই বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। ৪০-৫০টি কারখানায় সমস্যা হতে পারে। তবে সমস্যা হয়েছে ঈদের ছুটি নিয়ে।

“প্রথমে ঈদের ছুটি তিন দিন দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে তা কারখানাভেদে ৬/৭দিন, ১০ দিন এমনকি ১২ দিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ছুটি বাড়ানো নিয়ে বিক্ষোভ করতে গিয়ে অনেক স্থানে শ্রমিকরা সহিংস হয়ে উঠেছিল।

“বিকালে অনেক কারখানায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে, পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে। তবে কারখানায় এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।”