কোভিডের পর আবার রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী

দ্রুত বাড়তে থাকা বাংলাদেশের রপ্তানি করোনাভাইরাসের কারণে বাধাগ্রস্থ হলেও মহামারী শেষে আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2021, 10:25 AM
Updated : 8 May 2021, 10:25 AM

শনিবার দ্য ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ- আইসিএবি আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অব বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট: অপরচ্যুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, "শুধু তৈরি পোশাকের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। তাই দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রপ্তানি পণ্যকে টার্গেট করে সরকার কাজ করছে।

“রপ্তানি পণ্যকে অধিক গুরুত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যকে ‘প্রডাক্ট অব দি ইয়ার’ ঘোষণা করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিফোরজে নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেদার গুডস, প্লাস্টিক, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং- এই চার রপ্তানি পণ্যের সেক্টরকে যোগ্য করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে।"

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে ভূমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে, নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। এখানে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদান, হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান, ডিজাইনে বৈচিত্র আনা এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

টিপু মুনশি আরো বলেন, "এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য সরকার কাজ করছে। বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের জন্য পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভুটানের সাথে পিটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে, আরও বেশ কিছু দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে।

বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ স্থান হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখানে দেশি-বিদেশ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে।

আইসিএবির সাবেক সভাপতি আজিজ এইচ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর উদ্দীন, বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুট ওয়্যার ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও শিপ বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাফট ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম আহসান,  বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর,  বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মারুফ হোসেন, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রোসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সোহরাব হাসান, আইসিএবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু ও সহসভাপতি মারিয়া হাওলাদার।