পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে অন্তত আট টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়, আর দেশি লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
তবে মিল মালিকরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে মিল পর্যায়ে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা।
শুক্রবার ঢাকার মিরপুর বড়বাগ কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২ টাকায়, যা ১০ দিন আগেও ছিল ৬৭ টাকা থেকে ৬৮ টাকা।
মুদি দোকানি সাহাদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগের কেনা থাকার কারণে তিনি ৭২ টাকায় চিনির কেজি বিক্রি করতে পারছেন। পাইকারি বাজারে দাম আরও বেশি। ফলে চিনির দাম আরও বেড়ে যাবে।
আর এক সপ্তাহ পরই বাংলাদেশে শুরু হবে রোজার ঈদ। ঘরে ঘরে ফিরনি, সেমাইসহ নানাজাতের মিষ্টান্ন তৈরির এই উৎসবে চিনির চাহিদা কিছুটা বেড়ে থাকে।
সেই কারণেই চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে কি না- এই প্রশ্নে বাজারের অন্যতম জোগানদাতা সিটি গ্রুপের বিশ্বজিৎ সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনা মহামারীর এই সময়ে বিশ্ববাজারে চিনির কাঁচামালের দাম বেশ খানিকটা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এর বাইরে আর কিছু আছে কি না, তার জানা নেই।
“সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটন র সুগারের দাম ৪১০ ডলার থেকে বেড়ে ৪৭০ ডলারে উঠেছে,” বলেন বিশ্বজিৎ।
ঈদের আগে শাক সবজির দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকলেও বেশ খানিকটা বেড়েছে মাছ ও মাংসের দাম।
মাছ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মাংসের সঙ্গে ভর করে রুই কাতল, চিংড়ি, শিং ও অন্যান্য নদী ও সমুদ্রের মাছের দামও কেজিতে ২০/৩০ টাকা করে বেড়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে দোকানিরা জানিয়েছেন। কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি এলাচ ২২০০ টাকা, জিরা ৩০০ টাকা, গোল মরিচ ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ৬০০ টাকা, কাজু বাদাম ৮০০ টাকা, আলু বোখারা ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।