‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ নেতৃত্ব পাচ্ছে এফবিসিসিআই

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পরিচালকের পদ যতগুলো শেষ পর্যন্ত প্রার্থীও হয়েছেন ততজন।

ফয়সাল আতিকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2021, 02:46 PM
Updated : 26 April 2021, 02:46 PM

ফলে আগামী ৫ মে হতে যাওয়া নির্বাচনে নেতৃত্ব বাছাইয়ে ব্যবসায়ীদের আর ভোট দিতে হবে না।

সোমবার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য শামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পদের সমান প্রার্থী থাকায় নির্বাচনে আর ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী ৫ মে ভোটের দিনই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।“

সোমবার তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেম্বার গ্রুপের দুইজন এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের দুইজন যোগ্যপ্রার্থী তাদেরকে প্রত্যাহার করে নিলে নির্বাচন হয়ে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাহীন।

এবার চেম্বার গ্রুপ থেকে ২৩টি এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৩টি পরিচালক পদে নির্বাচন হচ্ছে।

বাছাইয়ের পর ৪৬টি পদের বিপরীতে উভয় গ্রুপ থেকে ২৫ জন করে মোট ৫০ জন বৈধ প্রার্থী ছিলেন।

শেষ দিনে চেম্বার গ্রুপ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের আজিজুল হক ও গাইবান্ধা চেম্বারের আবুল খায়ের মোরসালিন পারভেজ।

অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আক্কাস মাহমুদ ও স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলী জামান।

পরিচালক পদে নির্বাচিতরা এরপর পর্ষদের সভাপতি এবং জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ছয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ মে এই নির্বাচন হওয়ার কথা।

দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠনের এবারের সভাপতি হিসেবে অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে পরিচালক হিসেবে মনোনীত বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার আলোচনা রয়েছে ব্যবসায়ী মহলে।

বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিম এর আগেও এই সংগঠনের সভাপতি হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

কয়েকদিন আগে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন মহামারীর মতো একটা মহাদুর্যোগ চলছে। আমরা চাই যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে ঝামেলামুক্তভাবে নির্বাচনটা সম্পন্ন করতে।“

এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি শেষ ফজলে ফাহিম বলেন, “নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী যথাসময়ে নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।“

টিকে রইলেন যারা

অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ

ওয়েব প্রিন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের রব্বানি জব্বার, এগ্রিকালচারাল মেশিনারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের খন্দকার মইনুর রহমান জুয়েল, কনস্ট্রাকশন ইন্ড্রাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের জামাল উদ্দিন, কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মুনতাকিম আশরাফ, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মির নিজাম উদ্দিন আহমেদ, হোটেল অ্যান্ড গেস্টহাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, বাংলাদেশ ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেট অ্যাসোসিয়েশনের এমজিআর নাসির মজুমদার, ইনডেন্টিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাইয়েদ মোয়াজ্জেম হোসেন, কালি প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির এমএ মোমেন, বাংলাদেশ লেদারগুড ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের হাবিবুল্লাহ ডন, পেপার ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের শফিকুল ইসলাম ভরসা, পাঠ্যপুস্তক মুদ্রন ও বিপণন সমিতির আমিন হেলালি, প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতির হাফেজ হারুন, প্লাস্টিক প্যাকেজিং রোল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের আবু মোতালেব, পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফেরদৌসি বেগম, রাইচ মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আমজাদ হোসাইন, সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্লেট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নিজাম উদ্দিন রাজেশ, সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আসলাম সেরনিয়াবাত, সাব কন্ট্রাকটিং শিল্প মালিক সমিতির কাজী এরজেতা হাসান, ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের শাহীন আহমেদ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের শমী কায়সার, আউট সোর্সিং অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের আবু নাসের ও উইমেন এন্টারপ্রেনার্স নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নাদিয়া বিনতে আমিন।

চেম্বার গ্রুপ

বাগেরহাট চেম্বারের হাসিনা নেওয়াজ, বরগুনা চেম্বারের মাসুদুর রহমান মিলন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, কুমিল্লা চেম্বারের মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, গাজীপুর চেম্বারের মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, জামালপুর চেম্বারের রেজাউল করিম রেজনু, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের গাজী গোলাম আশরিয়া, কুড়িগ্রাম চেম্বারের গোলাম মোহাম্মদ, কুষ্টিয়া চেম্বারের বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, মৌলভীবাজার চেম্বারের সুজিব রঞ্জন দাস, নওগাঁ চেম্বারের ইকবাল শাহরিয়ার, নরসিংদী চেম্বারের মোহাম্মদ আলী হোসেন, পটুয়াখালী চেম্বারের শাহ জালাল, রাঙামাটি চেম্বারের মোহাম্মদ বজলুর রহমান, সাতক্ষীরা চেম্বারের তাবারাকুল তাসাদ্দেক হোসাইন খান টিটু, সিরাজগঞ্জ চেম্বারের মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, সুনামগঞ্জ চেম্বারের খাইরুল হুদা চপল, টাঙ্গাইল চেম্বারের খান আহমেদ শুভ, হবিগঞ্জ চেম্বারের মুতাসিরুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি চেম্বারের এসএম জাহাঙ্গীর আলম মানিক, মেহেরপুর চেম্বারের এমএ রাজ্জাক খান, নেত্রকোনা চেম্বারের হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান রুমেন, পিরোজপুর চেম্বারের সালাহউদ্দিন আলমগীর।

নির্বাচিতদের বাইরে এবার মনোনীত কোটায় চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ৩৪ জন পরিচালক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ৩২ জন।

সব মিলিয়ে এবার ৭৮ জন পরিচালক নিয়ে দুই বছরের জন্য এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ গঠন হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।