তবে চলতি রমজানে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সায় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কর্মকর্তারা জানান, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা করার বিষয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ হিসাবে দেখিয়েছে তারা। তবে আগামী রোজার ঈদের আগে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সায় দেওয়ার কোনো চিন্তা সরকারের নেই।”
কোন কোম্পানি ইচ্ছায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলে বাংলাদেশের বাজারে চলতি বছরের চার মাসে দুই দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারির পর আরেক দফায় ১৫ মার্চ প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়ানো হয়। এখন সেটা আরও ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা করতে চান ব্যবসায়ীরা।
গত বছরের শেষ দিকে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল ছিল প্রতি লিটার ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা যা এখন ১২০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও ছিল ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে যা এখন ১৩৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে গত ১০ এপ্রিল সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহর করে নেয় এনবিআর।
বাংলাদেশে খোলা যেসব ভোজ্যতেল ব্যবহার হয়, তার ৭০ শতাংশই পাম সুপার। আগে এর প্রতি লিটারের দাম ছিল মিলগেইটে (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়, গত জুলাই মাস থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি টন ৮০০ থেকে ৯০০ ডলারের মধ্যে থাকা সয়াবিন তেল এখন ১১শ ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।