এফবিসিসিআই নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষা

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৮৩ জনই ঋণখেলাপীর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র (ক্লিয়ারেন্স) পেয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2021, 03:26 PM
Updated : 8 April 2021, 03:52 PM

এদের মধ্যে ব্যবসায়ী নেতা সায়ফুল ইসলাম, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ঋণ খেলাপী দেখানোর বিষয়ে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় তারাও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি পেয়েছেন।

নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের এক চিঠিতে বলা হয়, ‘ব্যাংকের সিআইবি ডেটাবেইজের হালনাগাদ ঋণ তথ্য অনুযায়ী যাচিত ৮৩ জন মনোনয়ন দাখিলকারী ব্যক্তির মধ্যে ৮০ জন ব্যক্তি ঋণখেলাপী থেকে মুক্ত। অবশিষ্ট সায়ফুল ইসলাম, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ঋণ খেলাপী দেখানোর বিষয়ে মহামান্য হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে’।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমি সিআইবির সাথে কথা বলেছি। আমাকে জানানো হয়েছে, যে ৮৩ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে সবাই ‍নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এর মধ্যে ৮০ জন ঋণখেলাপী নন। আর বাকি তিনজনের বিষয়ে হাই কোর্টের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাদের ঋণখেলাপী বলা যাবে না, ফলে তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।”

তবে পুলিশ বিভাগ ও  এনবিআরের প্রতিবেদন নিরীক্ষা করতে না পারায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রার্থিতা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো ঘোষণা দিতে পারেনি নির্বাচন বোর্ড।

তফসিল অনুযায়ী এদিন বিকাল ৪টার পর পরিচালক পদের জন্য বৈধ মনোনয়নগুলো প্রকাশ করার কথা ছিল।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্বাচন বোর্ডের সদস্য শামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব প্রার্থী বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনাপত্তি পেয়েছেন। এনবিআর থেকেও অনাপত্তি এসেছে। তবে সেটা আমরা চেক করে দেখিনি। আর পুলিশ বিভাগের ক্লিয়ারেন্স এখনও হাতে আসেনি।”

এফবিসিসিআইএর সিইও মাহফুজুল হকও বলেন একই কথা।

“আমরা এখনও এগুলো নিয়ে কাজ করছি। এখন প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে পারিনি।”

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

নির্বাচন বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন পেছানো কিংবা স্থগিতের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

গত ৩১ মার্চ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ৪৬টি (২৩+২৩) পদের বিপরীতে চেম্বার গ্রুপ থেকে ২৫ জন ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সব প্রার্থী বৈধ হলে ভোটাভুটির মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচন করতে হবে। আর কিছু প্রার্থী কমে গিয়ে পদের সমান প্রার্থী থাকলে আর ভোটের প্রয়োজন হবে না।

আরও পড়ুন: