বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব তোলা হয়।
এমটব মহাসচিব এসএম ফরহাদ বলেন, মোবাইল অপারেটর খাত দেশের জিডিপিতে আনুমানিক ৭ শতাংশ হারে অবদান রাখছে। এই মহামারীকালে এই খাত দেশের অর্থনীতিকে বেগবান রাখতে অবদান রাখছে।
“এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি সিমের উপরে যে ২০০ টাকা কর আছে তা বিলুপ্ত করা হোক।”
মুনাফা না হলেও এই খাতে ২ শতাংশ হারে যে টার্নওভার কর ধরা আছে তাও প্রত্যাহারের প্রস্তাব রাখেন তিনি।
এছাড়া শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট করহার কমিয়ে যথাক্রমে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ ও ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনারও প্রস্তাব করেন এমটব মহাসচিব।
মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে দেওয়া আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হলো- প্রতি ১০০ টাকা টক টাইম ও ইন্টারনেটের উপর যথাক্রমে যে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সম্পূরক কর ও সারচার্জ কর্তন করা হচ্ছে তা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
প্রাকবাজেট আলোচনায় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমদ এবং বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তাইমুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
পরে এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় বেভারেজ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোমল পানীয় উৎপাদনে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সংগঠনের সদস্য ও ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাপস কুমার মণ্ডল বলেন, “এই খাতের সম্পূরক শুল্ক কমানো হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। কারণ শুল্ক কমালে পণ্যের দাম কমবে। তখন বিক্রি বাড়বে, সঙ্গে রাজস্বও বাড়বে।”
অনুষ্ঠানে তামাক খাতের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম।
তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এই খাতে আমরা সর্বোচ্চ কর পরিশোধ করি। প্রতিবছরই এই খাতে কর বাড়ানো হয়। আগামী অর্থবছরে যাতে নতুন করে আবারও কর বাড়ানো না হয় তার সুপারিশ করছি।”