নতুন আইনে জরিমানার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি হাবের

হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনার নতুন আইনে জরিমানার যে অঙ্ক প্রস্তাব করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে হজ এজেন্সিগুলো।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2021, 02:56 PM
Updated : 14 March 2021, 02:56 PM

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত আইনটির কিছু ধারা বাদ দেওয়ার দাবি জানানোহয়।

হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২০ মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর বর্তমানে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশের (হাব) সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ইতিপূর্বে বহু বছর ধরে হজ ও ওমরাহ নীতিমালা দিয়ে হজ ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হাতেগোনা কয়েকজন আমলার দ্বারা হজ ও ওমরাহ আইন-২০২০ হতে যাচ্ছে, যা অগণতান্ত্রিক।”

প্রস্তাবিত আইনে অনিয়ম ও অসদাচরণের জন্য হজ এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল ছাড়াও হজ এজেন্সিগুলোকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা এবং ওমরাহ এজেন্সিগুলোকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং এজেন্সির আংশিক বা পূর্ণ জামানত বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে।

সোবহান বলেন, “একটি হজ বা ওমরাহ এজেন্সি ধর্মীয় সেবা প্রদানের জন্য কাজ করে। যাত্রীর নিকট হতে প্রাপ্ত টাকা টিকেট ভিসা, মোয়াল্লেম ফিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয়। হজযাত্রীদের টিকেটের টাকা রিজার্ভ ফান্ডে জমা থাকে। হজ এজেন্সির মালিকরা এ টাকা কেবল সৌদি এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বিমানের নামে পে-অর্ডার করতে হয়। শুধু খাওয়ার টাকা হজ এজেন্সির নিকট থাকে।

“অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান যুক্তিযুক্ত নয়। জরিমানার টাকা প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি। সুতরাং এ ধারা ও উপধারাগুলো রহিত করতে হবে।”

আইনটি পাস হওয়ার আগে এই সংক্রান্ত ধারাগুলো বাদ দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন হাব নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে হাবের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ, আসলাম খান ও আবদুল্লাহ আল নাসের উপস্থিত ছিলেন।