বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে প্রতিযোগী অন্য দেশগুলোর দেওয়া সুবিধা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশেও সেই ধরনের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার রাজস্ব ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ফিকির পক্ষ থেকে নানা সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি রূপালী চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের উপর কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশে কী ধরনের কর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে, তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
এই ব্যবসায়ী নেতা গত বাজেটে কোম্পানির পণ্য সম্প্রসারণ ব্যয়ের করমুক্ত সীমা মোট বিক্রয়মূল্যের দেড় শতাংশ বেঁধে দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি অগ্রিম আয়কর বেশি হওয়া, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নকালে অনেক পরিবর্তন হওয়া, আয় না হলেও কোম্পানির বার্ষিক বিক্রির উপর কর প্রদানের ০.৫ শতাংশ বাধ্যবাধকতাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ তুলে ধরেন।
‘আয় না হলে কেন কর দেব’- ব্যবসায়ীদের এই দাবির কথাও বলেন রূপালী।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা অনিয়ম করেন, তাদের ধরার ক্ষেত্রে অনাপত্তি পাশাপাশি গুটিকয়েকের জন্য সবাইকে ক্ষতির মুখে না ফেলার আহ্বান জানান ফিকি সভাপতি।
তার দাবি, ভ্যাট আইন শুরুতে যেভাবে ছিল, তা থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে। আগাম মূল্য ঘোষণা ব্যবস্থা থাকবে না বলা হলেও ইনপুট কোইফিশিয়েন্ট দিয়ে এনবিআর সেদিকেই গেছে।
বেজায় (অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) জমি কেনায় আগে ভ্যাট না থাকলেও এখন ১৫ শতাংশ দিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম আমদানিতে মূল্য ঘোষণা ব্যবস্থার পরিবর্তে আগামীতে একটি নির্দিষ্ট মূল্য ঠিক করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
তিনি বলেন, “আমরা মূল্য ঘোষণা বাতিলেরই চিন্তা করছি।”
এ সময় ভুয়া অডিট রিপোর্ট ঠেকাতে তা যাচাইয়ের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিভিএস ছাড়া কোনো অডিট রিপোর্ট দিলে তা গ্রহণ করা হবে না। ব্যাংকগুলো যাতে এটি পরিপালন করে। নইলে তা বাতিল হয়ে যাবে।