’দুঃসময়ের বন্ধু’ সম্মাননা পেল ৬ এয়ারলাইন্স

করোনাভাইরাস মহামারীর ’কঠিন সময়ে’ বাংলাদেশের মানুষকে পরিবহনের স্বীকৃতি হিসাবে দেশি-বিদেশি ছয়টি বিমান সংস্থাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2021, 02:18 PM
Updated : 25 Feb 2021, 02:52 PM

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে তাদেরকে ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ সম্মাননা দেয় এভিয়েশন ও ভ্রমণ বিষয়ক সাময়িকী ’বাংলাদেশ মনিটর’।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে এই সম্মাননা পেয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস, নভোএয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইন এবং এয়ার অ্যারাবিয়া।

সেইসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল খাতকে দ্রুততার সঙ্গে নতুন বাস্তবতায় খাপ খাইয়ে নিতে পদক্ষেপ নেওয়ায় বিমান প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (ক্যাব) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানকে ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ স্মারক দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আমাদের দেশে ফ্লাইট সীমিত হয়ে গেলেও একদিনের জন্যও পুরোপুরি বন্ধ থাকেনি। বিশেষ ব্যবস্থায় যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি কার্গো ফ্লাইট ও মেডিকেল সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার কাজ অব্যাহত ছিল।”

এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসাবে অনেক ফি ও ভাড়া মওকুফ করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশি-বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো আটকেপড়া প্রবাসী কর্মীদের ফিরিয়ে আনার জন্য এবং দেশ থেকে আবার বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছে। এক্ষেত্রে ব্যবসার চেয়ে দেশের মানুষের কথা বেশি চিন্তা করেছে তারা।”

বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম অনুষ্ঠানে বলেন, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী শুরুর পর আকাশপথে যাত্রী পরিবহন প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে, যার ফলে দেশে ও বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হন।

”বাংলাদেশের আকাশ উম্মুক্ত করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পর কিছু এয়ারলাইন বাংলাদেশ ও এর জনগণের প্রতি তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যাক্ত করে যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে।”

‘কঠিন সময়ের’ প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত বাংলাদেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়ানোয় তাদেরকে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত বছরের ২২ মার্চ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার।

মে মাসের শেষে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে জুন থেকে আবার নিয়মিত ফ্লাইট চালু করে বিমান পরিবহন কোম্পানিগুলো।  

বর্তমানে দেশি-বিদেশি ২৫টির বেশি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে জানিয়ে অনুষ্ঠানে বলা হয়, আরও কিছু বিমান সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় আছে।