পোশাক কারখানা মালিকদের প্রণোদনার ঋণ শোধের সময় বাড়ল

মহামারীর মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে সরকারের প্রণোদনা তহবিল থেকে নামমাত্র সুদে যে ঋণ পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্প মালিকরা পেয়েছেন, তা পরিশোধে আরও সময় দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2021, 01:31 PM
Updated : 23 Feb 2021, 04:29 PM

ওই ঋণ পরিশোধের জন্য গ্রেস পিরিয়ডের সময় ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করতে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তারা পেয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক অচিরেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে গতবছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এক প্রকার অচল হয়ে গেলে বড় ধরনের ধাক্কা খায় বিশ্ব অর্থনীতি, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।

সেই ধাক্কা সামলে উঠতে বিভিন্ন খাতের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মীদের এপ্রিল, মে জুন ও জুলাই- এই চার মাসের বেতন-ভাতা দিতে সরকারের প্রণোদনা তহবিল থেকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন শিল্প মালিকরা।

শর্ত অনুযায়ী, ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ দুই বছরে ১৮টি সমান কিস্তিতে এই টাকা তাদের ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। এখন তারা আরও ছয় মাস সময় পেলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো অর্থমন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে রপ্তানিমুখী এবং সচল শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেওয়া ঋণ পরিশোধের সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

>> ঋণ গ্রহিতা শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১ মার্চ ২০২১ সাল থেকে আরও ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া যেতে পারে।

>> মোট ১২ মাস গ্রেস পিরিয়ড ছাড়া ১৮টি মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের শর্ত বহাল থাকবে। এই ঋণের অন্যান্য শর্তও অপরিবর্তিত থাকবে।

এসব বিষয় যুক্ত করে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনের ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মমদ আনিসুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে।

বিকেএমইএর সহ সভাপতি ও ফতুল্লা অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে শামীম এহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেস পিরিয়ড শেষে গত জানুয়ারি থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হয়েছিল কারখানা মালিকদের। অনেকেই ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তিও পরিশোধ করে দিয়েছেন। কিন্তু রপ্তানি পরিস্থিতি খারাপ থাকায় শিল্প মালিকদের পক্ষে এখনই এই ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঋণ গ্রহিতা শিল্প মালিকদের জন্য বড় স্বস্তির।”