অর্থাৎ মোবাইল অপারেটরদের এসব সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, এটা ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হবে।
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরুর আগে দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে এসব সেবার জন্য ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হত। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরুর পর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত হয়।
মোবাইল অপারেটরগুলোর অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয় বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
রাজস্ব বোর্ডের মুসক নীতি বিভাগের প্রথম সচিব কাজী ফরিদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, “জনস্বার্থে বিটিআরসি কর্তৃক মোবাইল অপারেটরদের অনুকুলে ফোরজি লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়নের ক্ষেত্রে বিটিআরসি কর্তৃক প্রাপ্ত বা প্রাপ্য লাইসেন্স বা টেকনোলজি নিউট্রালিটি ফি (২জি ও ৩জি লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও) বা স্পেকট্রাম ফি বাবদ নির্ধারিত অর্থের উপর মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ হ্রাস করা সমীচীন।
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা ১২৬ এর উপধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ফোরজি লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে বিটিআরসি কর্তৃক প্রাপ্ত লাইসেন্স বা স্পেকট্রাম ফি বাবদ নির্ধারিত অর্থের ওপর সাড়ে সাত শতাংশের অতিরিক্ত মুল্য সংযোজন কর হতে অব্যাহতি প্রদান করিল।”
এদিকে এনবিআরের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টির কথা এসেছে মোবাইল অপারেটরদের মধ্য থেকে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এক বার্তায় বলেন, “মূসক (ভ্যাট) হার ১৫% থেকে কমিয়ে ৭.৫% নির্ধারণের ফলে তা আমাদের ওপর আরও বাড়তি করের বোঝা চাপাবে, কারণ এর ফলে আমরা মূসক রেয়াত পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
“উপরন্তু নির্দেশনাটিতে টুজি এবং থ্রিজি সম্পর্কিত মূসক লেনদেনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।”
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, নীতিগতভাবে লাইসেন্স ফি এবং বেতার তরঙ্গের চার্জের ওপর কোনো মূসক আরোপ করা উচিৎ নয়, কারণ উপরোক্ত দুটি বিষয়ই টেলিযোগাযোগ খাতের মূল কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ সব কাঁচামাল আমাদের জন্য তখনই মূল্য সংযোজন করে, যখন আমরা গ্রাহক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এগুলো ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে বিশাল বিনিয়োগ করে থাকি।”