বিজিএমইএ নির্বাচনে এবারো লড়ছেন জাহাঙ্গীর

পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে আবারও অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গত নির্বাচনে আত্মপ্রকাশ করা স্বাধীনতা পরিষদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2021, 12:48 PM
Updated : 14 Feb 2021, 01:30 PM

নতুন এই প্যানেলের শীর্ষ নেতা তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান ডিজাইন অ্যান্ড সোর্সের মালিক জাহাঙ্গীর আলম রোববার এক অনুষ্ঠানে ২০২১-২০২৩ সালের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে এক যোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে মনোনয়ন দাখিল করতে হবে আর ৪ মার্চ প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।

তিন দশক আগে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিজিএমইএর পরিচালক নির্বাচনে ফোরম ও সম্মিলিত পরিষদ নামের দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে দুই শিবিরের শীর্ষনেতারা সমঝোতার মাধ্যমে পদ ভাগাভাগি করতে থাকায় সাধারণ সদস্যদের ভোটাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল।

এমন পরিস্থিতিতেই ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে স্বাধীনতা পরিষদ নামের নতুন আরেকটি প্যানেল আত্মপ্রকাশ করে সমঝোতার উদ্যোগ ভেঙে দেয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া ভোটাভুটিতে গড়ালেও ১৮টি পদে প্রার্থী দিয়ে একটিতেও জিততে পারেনি স্বাধীনতা পরিষদ।

গত নির্বাচন প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ওই নির্বাচনে জোর জবরদস্তি করে এবং কারচুপির মাধ্যমে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিল্পের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ওই নেতৃত্বকে মেনে নিয়েছিলাম।”

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণ উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর বালেন, পোশাক শিল্পের বর্তমান দুরবস্থার জন্য কেবল করোনা মহামারীই দায়ী নয়। নেতৃত্বহীনতা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, আইনি সংস্কার করতে না পারাও অনেক গার্মেন্টস বন্ধের কারণ।

তিনি বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলে প্রায় ৭ হাজার গার্মেন্টস ছিলো একসময়। এটা কমতে কমতে এখন দুই হাজারের নিচে চলে এসেছে। এর জন্য দায়ী ‘সো কলড কমপ্লায়েন্স’- এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে অনেক শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। বড় এবং ছোট দুধরনের কারখানার জন্য দুরকম নিরাপত্তা মানদণ্ড ঠিক করলে হয়ত কিছু শিল্প বেঁচে যেত।”

নির্বাচিত হতে পারলে দেশের কারকানা মালিকদের মধ্যে দাম নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা থামানো,. ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম নিরাপত্তা মানদন্ড তৈরি করা,. শ্রম আইনের অচল ধারাগুলো সংশোধন করে যুগোপযোগী করা এবং নতুন বাজার ধরতে বিদেশে মিশনগুলোতে আরএমজি উইং খোলার প্রতিশ্রুতি দেন জাহাঙ্গীর।

এবারের নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি রুবানা হকের প্যানেল ফোরাম এবং সম্মিলিত পরিষদ নামের আরেকটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে।