আশুলিয়ায় বেক্সিমকোর ‘পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ উদ্বোধন

আন্তর্জাতিকমানের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) তৈরি করতে সাভারের আশুলিয়ায় প্রায় ২৫ একর জায়গায় বেক্সিমকোর উদ্যোগে গড়ে উঠেছে পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2021, 01:00 PM
Updated : 10 Feb 2021, 01:00 PM

বুধবার আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় এই পিপিই পার্কের উদ্বোধন করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।

বেক্সিমকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ নাভেদ হুসাইনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রায় একশ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও স্থাপত্যের সংমিশ্রণে মাত্র ছয় মাসে উৎপাদন সক্ষম করে গড়ে তোলা হয় কারখানাটি। পিপিইর সঠিক মান নিশ্চিত করে পণ্য উৎপাদন করতে আন্তর্জাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেকের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেক্সিমকো।

বেক্সিমকো ও ইন্টারটেকের যৌথ উদ্যোগে পার্কে ১২ হাজার বর্গফুট জায়গায় একটি সর্বাধুনিক ‘পিপিই সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এই ল্যাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের মানদণ্ড অনুসারে পিপিই তৈরির জন্য সব ধরনের পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

নতুন এই পিপিই পার্কে কাচাঁমাল থেকে বিভিন্ন ওজনের লেমিনেটেড ফেব্রিক্সস ও মেল্টব্লোন পদার্থ তৈরি হবে। এসব থেকে প্রস্তুত করা হবে জীবাণুনাশক ডিসপজেবল আইসোলেশন ও সার্জিক্যাল গাউন, পুনঃব্যবহারযোগ্য আইসোলেশন গাউন, সার্জিক্যাল মাস্ক, ওভেন ও কিটেন সু কভার, হেড কভার ও ডিসপজেবল ক্রাবস।

অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও ব্যবসায়ীক সর্ম্পক অনেক ভালো। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। বেক্সিমকোর এই প্লান্টটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে আরও শক্তিশালী করবে।”

বেক্সিমকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ নাভেদ হুসাইন বলেন, “এটি বাংলাদেশকে বিশ্বের পিপিই উৎপাদন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। ইন্টারটেকের মান নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া আমাদের বিভিন্ন আইনি ও সম্মতিপত্র গ্রহণে ব্যপকভাবে সহায়তা করেছে এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে।

“এই উৎপাদন কেন্দ্রটি একাধারে উৎপাদক, ক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা, বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও সরকারকে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে সক্ষম হবে। কারণ এখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানদণ্ড অনুসারে একইসাথে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে বিশ্বের বৃহত্তম পিপিই উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এটি সেই লক্ষ্যকে দৃশ্যায়মান করছে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইন্টারটেকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সন্দ্বীপ দাস, উত্তর আমেরিকার গ্লোবাল সফটলাইন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট রক করোনা, উত্তর আমেরিকার পিপিই কারিগরি প্রধান জ্যাশন অ্যালেন র্ভাচুয়ালি যোগ দেন।