১৭ মার্চ শুরু হচ্ছে না বাণিজ্য মেলা

পূর্বাচলের চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ১৭ মার্চ থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসর শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হলেও আপাতত তা আর হচ্ছে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2021, 08:18 AM
Updated : 7 Feb 2021, 08:18 AM

রোববার সচিবালয়ে প্রদর্শনী কেন্দ্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি একথা জানান।

তিনি বলেন, “আমরা এবছর মেলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ১৭ মার্চকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি এগুচ্ছিল। এ ব্যাপারে আমরা প্রাথমিকভাবে একটা সম্মতিও পেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটাকে একটু স্লো করার জন্য। আশা করি এ বছর একটা সময়ে আমরা মেলাটা করতে পারব।”

সেই সময়টা কখন আসবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “মেলা কখন শুরু হবে তা নির্ভর করছে উপরওয়ালার ওপরে। পরবর্তীতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলো পহেলা জানুয়ারিতেই শুরু হবে।”

পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। গত বছর ৩০ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দেয় তারা।

বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সারা বছরই এখানে মেলা, বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনী, সোর্সিং প্রোগ্রাম হবে। পাশাপাশি বছরে দুবার নিজস্ব পণ্য প্রদর্শনী করবে চীন।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়, বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর স্থায়ী এই অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে চীন সরকার অনুদান হিসাবে দিয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ২৩১ কোটি ও ইপিবির নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে এই প্রকল্পে।

এ প্রদর্শনী কেন্দ্রের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।

দোতলা পার্কিং ভবনে ৭ হাজার ৯১২ বর্গ মিটার জায়গায় ৫০০ গাড়ি রাখা যাবে। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্ক করা যাবে। এক্সিবিশন হলে ৮০০টি স্টল বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথের আয়তন ৯.৬৭ বর্গমিটার।

ভবিষ্যতে এই প্রদর্শনী কেন্দ্রের নাম ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চয়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন ও ইপিবি কর্মকর্তারা সচিবালয়ে উপস্থিত ছিলেন।