দেশে মজুদ ৭ লাখ ১১ হাজার মে. টন খাদ্যশস্য: খাদ্যমন্ত্রী

বর্তমানে দেশে সাত লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে কাঙ্ক্ষিতমাত্রায় খাদ্যশস্য সংগ্রহ না হওয়ায় সরকার ১৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2021, 09:22 AM
Updated : 20 Jan 2021, 09:22 AM

বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব তথ্য জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নে সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, দেশে বর্তমানে (১৪ জানুয়ারি) পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং এক লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন গমসহ সাত লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে।

“চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ও দুই দশমিক শূন্য সাত মেট্রিক টন সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সংগ্রহ আশানুরূপ না হওয়ায় সরকার মজুদ বৃদ্ধির জন্য দশ লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি চাল আমদানির শুল্ক ৬২.৫% থেকে ২৫% এ হ্রাস করা হয়েছে।”

বিএনপির আমিনুল ইসলামের প্রশ্নে তিনি জানান, সরকার চলতি অর্থবছরে জি টু জি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে দুই দশমিক ১৬ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছে। এছাড়া ভারত থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চলতি অর্থ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চিনি, ভোজ্য তেল, ফলমুল, মসলা, পেঁয়াজ, ডালসহ দুই হাজার ৩৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, জুলাই ২০২০ থেকে বাংলাদেশ থেকে চীনের বাজারে আট হাজার ২৫৬টি পণ্য (দেশটিতে রপ্তানি পণ্যের ৯৭%) শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারছে।

বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নে তিনি আরও জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৩৯ হাজার ৭৫৫ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমদানি ব্যয় ছিল ৫৫ হাজার ৬৩৪ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার। মোট বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মহামারীর কারণে পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থ বছরে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছে।

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “করোনাকালীন (এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২০) সময়ে বিদেশ থেকে মোট চার লাখ ৮ হাজার ৪০৮ জন কর্মী ফেরত এসেছেন। এদের মধ্যে নারী ৪৯ হাজার ৯২৪ জন। ফেরত কর্মীদের মধ্যে যেমন কর্মহীন হয়ে পড়া রয়েছে, তেমনি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে স্বাভাবিকভাবে ফেরতও রয়েছেন।”