মহামারীর মধ্যে ওয়ালটন টিভি রপ্তানি ‘১০ গুণ বেড়েছে’

বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও গেল বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ালটনের টেলিভিশন রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ‘১০ গুণ বেশি হয়েছে’ বলে জানানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2021, 07:36 PM
Updated : 14 Jan 2021, 07:36 PM

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ‘হাইয়েস্ট টেলিভিশন এক্সপোর্ট ইন ২০২০’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে ওয়ালটনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশুদ আহমেদ, বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রেফিকা হায়াত এবং হেড অব ডেনিশ ট্রেড মিশন আলী মুশতাক বাট অংশ নেন।

ওয়ালটনের ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম শামছুল আলম, পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা ও রিফাহ তাসনিয়া স্বর্ণা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ওয়ালটন টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেনসহ অনেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি। সে লক্ষ্য অর্জনে ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, টেলিভিশন রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা জায়ান্ট হয়ে উঠছি। শুধু টেলিভিশন নয়, ইলেকট্রনিক্স খাতের সব ক্ষেত্রেই আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন চমৎকার কাজ করছে।”

অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, “করোনা মহামারীতেও স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ওয়ালটন দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। আমার বিশ্বাস সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য সরবরাহের কারণে ওয়ালটন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজার ধরতে পেরেছে।”

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটনের প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারাকে ‘যৌবনকাল’ হিসেবে বর্ণনা করেন ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে ওয়ালটনের যুগ শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য খাতে আমরা বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকা আরও উঁচুতে তুলে ধরে দেশকে সম্মানিত করতে এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স শিল্প খাত হবে বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিটেন্স অর্জনকারী খাত।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ওয়ালটন ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজস্ব কারখানায় তৈরি টেলিভিশন রপ্তানি করছে। বর্তমানে বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের তৈরি টিভি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, স্পেনসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশে ওয়ালটন টেলিভিশন ‘১০ গুণ বেশি’ রপ্তানি হয়েছে।

ওয়ালটন টিভির সিইও প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, “আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওয়ালটন যুগোপযোগী ডিজাইন ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিভিশন উৎপাদন করছে। ওয়ালটন টিভির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চমানের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি হওয়ায় বৈশ্বিক ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।”

তিনি বলেন, “বিশ্বের সেরা পাঁচটি টেলিভিশন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় পৌঁছানোর মিশন নিয়ে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি ২০২৩ সালের মধ্যে পাঁচটি মহাদেশীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশে ওয়ালটনের তৈরি টেলিভিশন রপ্তানির টার্গেট নেওয়া হয়েছে।”