বান্দরবানের সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 12 Jan 2021 10:47 PM BdST Updated: 12 Jan 2021 10:47 PM BdST
বান্দরবানের সাইরু হিল রিসোর্টের বিরুদ্ধে ২ কোটি ১২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
Related Stories
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে এই মামলা করা হয়েছে বলে মহা পরিচালক মইনুল খান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়ার পর উপ পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্যাট গোয়েন্দারা গত ৩০ নভেম্বর একই সময়ে বান্দরবানের ওই রিসোর্ট এবং ঢাকার বনানীতে তাদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সেদিন রিসোর্টের কম্পিউটার ও অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়। এরপর এক মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত করে রিসোর্টের বিভিন্ন সেবা বিক্রির বিপরীতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ চূড়ান্ত করা হয়।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলছে, সাইরু হিল রিসোর্ট ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ মাসে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী সময়মতো ভ্যাট না দেওয়ায় ২ শতাংশ হারে ৪২ লাখ টাকার সুদ প্রযোজ্য হবে। সব মিলে পাওনা দাঁড়াচ্ছে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।
মহামারীর কারণে গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাস রিসোর্ট বন্ধ ছিল। তদন্তে ওই মাসগুলোর ভ্যাটের হিসাব ধরা হয়নি।
মইনুল খান বলেন, “মামলাটি চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারের কাছে বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁকি দেওয়া টাকার দ্বিগুণ জরিমানা হতে পারে।”
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের আগে প্রায় হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় বিলাসবহুল ওই রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে রিসোর্টের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন মু. বায়জিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার বিপরীতে যে ভ্যাট পাওনা তা নিয়মিত সরকারের কোষাগারে জমা করে আসছি।
“তারপরও গত ৩০ নভেম্বর ভ্যাট গোয়েন্দা দল আমাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে গেছেন। কিন্তু মামলা করা হয়েছে বলে আমাদের এখনো জানানো হয়নি। মামলা করা হলে তা আমরা মোকাবিলা করব।”
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলছে, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বান্দারবান ভ্যাট অফিসে তাদের প্রকৃত বিক্রির হিসাব গোপন রেখে রিটার্ন দিয়ে আসছিল। ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে তাদের প্রকৃত বিক্রির হিসাব উদ্ধার করেন।
তদন্তে দেখা যায়, সাইরু কর্তৃপক্ষ অতিথিদের কাছ থেকে চালানের মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ওই টাকার একটা বড় অংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।
ভ্যাট গোয়েন্দারা বলছেন, সাইরু প্রতি মাসে গড়ে এক লাখ টাকা ভ্যাট দিয়ে রিটার্ন দাখিল করে আসছিল। কিন্তু তদন্তে পাওয়া গেছে, ওই রিসোর্টের প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ টাকার ভ্যাট দেওয়ার কথা।
-
আইসিএমএবিতে ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন করল রবি
-
ডাবরের উদ্যোগ- ‘সুরক্ষিত আমি, সুরক্ষিত আমরা’
-
তৈরি পোশাকের ক্রেতাদের সুদৃষ্টি চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
-
‘ডানো গ্রোথ শক্তি’ নিয়ে এলো আরলা
-
মীর গ্রুপের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
-
এসআইবিএলের সম্মেলনে প্রযুক্তি নির্ভরতায় জোর
-
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডির শ্রদ্ধা
-
চালের বাজারে লাগাম, ‘ছুটছে’ তেলের দাম
সর্বাধিক পঠিত
- নোয়াখালীতে ফের গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলা
- দ্বিতীয় ধাপের ভোটে মেয়র হলেন যারা
- বিমানের সহযাত্রী করোনাভাইরাস পজিটিভ, কোয়ারেন্টিনে ৪৭ খেলোয়াড়
- সিরাজগঞ্জে ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী নিহত
- ভোটে জিতে কাদের মির্জা বললেন, কথা বলে যাব
- অঁজিকে হারিয়ে শীর্ষে পিএসজি
- করোনাভাইরাস: সাড়ে আট মাসের সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত
- তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তামিমের ডেপুটি
- অভিষেকে অনুজ্জ্বল টেন্ডুলকারের ছেলে
- তিন নতুন মুখের ব্যাখ্যা প্রধান নির্বাচকের