বৃহস্পতিবার গণভবনে বাংলাদেশে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্যান্সিসকো দে এসিস বেনিতেজ সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তার মাধ্যমে তিনি এ আহ্বান জানান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি। আমরা সেখানে অনুকূল পরিবেশ এবং সুযোগ সৃষ্টি করেছি। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে স্পেন সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে। তৈরি পোশাক ছাড়াও পাট, চামড়া ও ওষুধ শিল্প সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে শক্তিশালী পর্যায়ে উঠে এসেছে এবং স্পেন এসব খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে।”
আকর্ষণীয় বিদেশি বিনিয়োগ-বান্ধব প্যাকেজ, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার ও আঞ্চলিক বাজারের সুবিধার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের শতবর্ষ মেয়াদি ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্পেন চাইলে বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে।
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং স্পেনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর টিকা প্রাপ্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মহামারী মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বিশ্ব অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্পেন বাংলাদেশের সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং রেল খাতের সম্প্রসারণে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে স্পেন চতুর্থ বৃহৎ গন্তব্যস্থল বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান এবং দায়িত্ব পালনকালে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।