সংক্রমণ বাড়ায় ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংক এবং দুটি করপোরেশনে ‘সিনিয়র অফিসার’ পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 01:24 PM
Updated : 28 Nov 2020, 01:30 PM

আগামী ৫ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর ৬৭টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এমসিকিউ পদ্ধতিতে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

৭৭১টি পদের এই নিয়োগ পরীক্ষায় এক লাখ ৪০ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব আরিফ হোসেন খান শনিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনিবার্য কারণে আমরা সাত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলেছি। কিন্তু বাস্তব অবস্থা তো আমরা সবাই জানি, কোভিড-১৯ এই মহামারীর মধ্যে এত বড় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া আসলে সম্ভব নয়।

“আমরা ভেবেছিলাম, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সে কারণেই ৫ ডিসেম্বর পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পরীক্ষা নেওয়া আসলে সম্ভব নয়। সে কারণেই স্থগিত করা হয়েছে।”

বাংলাদেশে গত মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে, পরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কমে আসে রোগী শনাক্তের হার। তবে নভেম্বরের শেষ দিকে এসে ফের নতুন রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যু দুটোই বেড়েছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে এই পরীক্ষার তারিখ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনোনো হবে বলে জানান আরিফ খান।

গত ২০ জানুয়ারি সমন্বিত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে (২০১৮ সালভিত্তিক) ৭৭১ জন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি-বিএসসি। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি।

পাঁচ ব্যাংক এবং দুটি করপোরেশন হল- সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন বাংলাদেশ-আইসিবি ।

এর মধ্যে সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যাংক সোনালী ব্যাংকে ২৬৪ জন, জনতায় ১৩৯, রূপালীতে ২১১, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১১৩ এবং কর্মসংস্থান ব্যাংকে ৬ জন নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।

এছাড়া আইসিবি এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে ৪ জন করে মোট ৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।