অর্থপাচার: এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‘অফশোর’ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৩৬ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগে এবি ব‌্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক এবং নয় পরিচালকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2020, 12:08 PM
Updated : 26 Nov 2020, 12:08 PM

বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সহকারী পরিচালক নারগিস সুলতানা ও জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে এসব মামলা করেন বলে সংস্থাটির মুখপাত্র প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

তিন মামলার মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২৩ আসামির বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন।

আর নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এছাড়া জেসমিন আক্তার যে মামলার বাদী হয়েছেন তাতে ২১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুযোগ নিয়ে এলসির বিপরীতে ২৩৬ কোটি আট লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাৎ করেছেন বলে এসব মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মামলায় এবি ব্যাংকের বোর্ড পর্যায়ে যারা আসামি হয়েছেন তারা হলেন- এবি ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ব্যাংকটির পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বি বি সাহা রায়, জাকিয়া এস আর খান ও মো. মেজবাউল হক।

অপর আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের ডিএমডি অ্যান্ড হেড অফ অপারেশন্স সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ইভিপি অ্যান্ড হেড অফ আইসিসিডি মো. শাহজাহান, সাবেক এভিপি পানেট চক্রবর্তী, ইভিপি অ্যান্ড হেড অফ আইসিসিডি মো. আমিনুর রহমান, সাবেক ইভিপি সরফুদ্দিন আহমেদ, এবি ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আরিফ নেওয়াজ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সালাহ উদ্দিন, অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আশিকুর রহমান।

এছাড়া ব্যাংকটির সাবেক ইভিপি কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস সালমা আক্তার, সাবেক ডিএমডি ও হেড অব ক্রেডিট কমিটি মশিউর রহমান, সাবেক এমডি ও প্রেসিডেন্ট অব ক্রেডিট কমিটি শামীম আহমেদ চৌধুরী এবং ব্যবসায়ী এ এন এম তায়েবু রশীদকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের গ্রাহক সিম্যাটসিটি জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি, এটিজেড কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং ইউরো কারস হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিডেটকে ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে ঋণের আড়ালে ওই অর্থ পাচার করা হয়েছে।