বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবারের গ্র্যান্ড ফিনালের সেরা তিন দলের নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এবার প্রায় ১৬ হাজার তরুণ-তরুণী আবেদন করেন। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পান তারা।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রতিযোগীদের পাঁচটি দল তাদের ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। সেগুলো মূল্যায়নের পর সেরা তিন দলের নাম ঘোষণা করেন বিচারকরা
স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মের উপর পরিকল্পনা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে টিম ডিকোড। আর গেইমিং প্ল্যাটফর্মের ওপর পরিকল্পনা উপস্থাপন করে টিম হোয়াইট কলার ক্রু প্রথম রানারআপ এবং টিম ব্লিঙ্ক দ্বিতীয় রানারআপ হয়।
এই তিনটি দলের সদস্যরা ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেস্টেন্ট প্রোগ্রাম’ এ যোগ দেওয়ার সুযোগ ছাড়াও পুরস্কার পাবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি অনুষ্ঠানে বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উপায়ে তাদের ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন। তাই আমাদের দায়িত্ব হলে এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেখানে তারা বিকশিত হবে ও তাদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।”
‘দৃষ্টান্তমূলক’ এই উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের সুযোগ দেওয়ার জন্য বাংলালিংককে ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলালিংক এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, উদ্ভাবনী তরুণদের প্রয়োজনীয় সুযোগ দেওয়া গেলে তারা নিজেদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারেবে এবং আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী ডিজিটাল পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে পারবে।
“আজ তারা যে স্বীকৃতি পাচ্ছে তা আগামী দিনে অবশ্যই তাদের আরও বেশি উদ্ভাবনী হতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।”
প্রতিভাবান তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে এই উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলালিংক এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ।
প্রতিযোগিতাটি ইতোমধ্যে অনেক অংশগ্রহণকারীর স্বপ্নপূরণে ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলালিংক ইনোভেটর্স এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।