মার্চের আগে বিমানের টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখা হত: প্রতিমন্ত্রী

গত মার্চের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রি আটকে রাখা হত বলে সংসদে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2020, 06:53 PM
Updated : 17 Nov 2020, 06:53 PM

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল-২০২০‘ পাসের প্রক্রিয়ায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আগে আমরা বিভিন্ন অভিযোগ পেতাম, ‘বিমানের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ বিমান ফাঁকা যাচ্ছে’ এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এটি তদন্ত করেছি। মনিটর করেছি- এটি অসত্য ছিল না, কোন কোন অসৎ কর্মী টিকেট ব্লক করে রাখত।

“এটি আমরা এক্সটেনসিভ স্টাডি করেছি, তার পরে আমরা সার্ভিস সেন্টারগুলো তদন্ত করে দেখেছি কিছু কিছু সেন্টারে টিকেট ব্লক করা হত। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমরা শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। সব টিকেট যাতে ওপেন থাকে তার ব্যবস্থা নিয়েছি। এর ফলে এ বছরের মার্চ মাস থেকে বিমানের কোনো টিকেট ব্লক করার কোনো উপায় নেই, এমনকি মন্ত্রী বা ভিআইপিদের জন্যও কোনো টিকেট ব্লক করার কোনো উপায় নেই। এর ফলে মার্চ মাস থেকে বিমানের সব সিটে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বিমান ভর্তি হয়ে যাচ্ছে।”

বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী (ফাইল ছবি)

বিলটি পাশের সময় বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের এ সংক্রান্ত অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন মাহবুব।

বিএনপির হারুনুর রশীদের কথার জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরের অবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিমানবন্দরে কোনো যাত্রী হয়রানি ঘটে না আর লাগেজ নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে না। বিশ্বের অন্য বিমানবন্দরে এক-দেড় ঘণ্টা পরে লাগেজ পাওয়া গেলেও আমাদের বিমানবন্দরে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে লাগেজ হাতে পাওয়া যায়।”

তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা আগে নামেন বিমানবন্দরে, সেখান থেকে দেশের প্রতি তারা যেন একটা ভালো ধারণা-মনোভাব নিয়ে দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেন সেজন্য বিমানবন্দরগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আমরা তৃতীয় টার্মিনাল করছি। এর ফলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের চিত্র একেবারে নান্দনিক হবে।”

টিকেট আপগ্রেড করা নিয়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রী-এমপিদের জন্য টিকেট রাখার কোনো নিয়ম বিমানে নেই, যে যেখানে সিট পাবেন সেখানে বসে তাকে যেতে হবে। আমি প্রতিমন্ত্রী হয়েও তৃতীয় শ্রেণিতে ভ্রমণ করেছি।”